নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বাজারগুলোয় সরবরাহ বেড়েছে শীতকালীন সবজির। শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজির দামও কমেছে। এতে ক্রেতাদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। একইসঙ্গে সব ধরনের মুরগির দামও কমেছে। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁও ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ বাড়ায় শীতকালীন সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। শিম কেজিতে ২০ টাকা কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুলা কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ছোট আকারের প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি ঝিঙা ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা ও ধুন্দল ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, দেশি শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও হাইব্রিড
শসা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছেন শেওড়াপাড়ায় তরকারি বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। পাইকারি বাজারে সবজির সয়লাব। দাম আরও কমে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সবজির দাম কমায় ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। তারা বলছেন, শীতের আগমনে বাজারের চিত্র বদলাতে শুরু করেছে। দাম আরও কমে আসবে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়া বাজারে বাজার করতে আসা দিনমজুর নজরুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে শিম ২৫০ গ্রাম যে দামে কিনেছিলাম, আজ (গতকাল) সেই দামেই ৫০০ গ্রাম কিনলাম। আগামী সপ্তাহে দাম আরও কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
বাজারগুলোতে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনেপাতা কেজিতে ৫০ টাকা কমে ২৫০ টাকা, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা এবং চালকুমড়া প্রতিটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে লালশাক ২০ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, কলমিশাক ২ আঁটি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা ও ডাঁটাশাক দুই আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে আলু ২০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ২৮০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৬৫ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে ইলিশ মাছ ২ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি শিং (চাষের) আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি শিং ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা ও পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোয় দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা ও রসুন (ইন্ডিয়ান) ১৬০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা ও খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোয় এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ২১০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকা ও সোনালি কক মুরগির ডিমের হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮৫ থেকে ৯২ টাকা, নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা ও ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে।
প্রিন্ট করুন





Discussion about this post