নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিদেশিদের পদলেহন ও দেশবিরোধী সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি ও তার মিত্ররাই বেকায়দায় পড়ে গেছে।’
সোমবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং নেতাদের মধ্যে ইউনুস রুবেল, শরফুদ্দীন এলাহী, সহিদুর রহমান, তাপস দাশগুপ্ত, ঈশা খান, সম্রাট শাহ ও ফারুক আহমেদ সভায় যোগ দেন। অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র, সোশাল ও নিউ মিডিয়া) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনীতির ক্ষেত্র হচ্ছে— বিরোধী দল বিএনপির সাংঘর্ষিক রাজনীতি, তার মিত্রদের দেশবিরোধী অপতৎপরতা, বিদেশিদের পদলেহন এবং বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া। এগুলো করে তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। কিন্তু সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি নিজেই বেকায়দায় পড়ে গেছে। এর কারণ, তারা ভেবেছিল ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করে তারা বিশৃঙ্খলা করতে পারবে। সেটি তারা পারেনি এবং বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তি এবং সামর্থ্য কতটুকু।’
তিনি বলেন, ‘এরপরও বিএনপি চেষ্টা করবে। এ বছরও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। তবে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে আমরা তাদের সর্বোচ্চ অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা দেখেছি এবং সেগুলো মোকাবিলা করা হয়েছে। সুতরাং, তারা কী করতে চায়, কী করতে পারে— সেটি নিয়ে আমাদের ধারণা আছে। সেটি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা দু’টোই আমাদের আছে। সেটি আমাদের কঠিন কোনও কাজ নয়।’
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিএনপি দুটি হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি হচ্ছে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার গোঁ ধরা। সেই গোঁ ধরে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে তাদের সংসদ সদস্যদের বাধ্য করে পদত্যাগ করানো, এটাতেও তাদের ক্ষতি হয়েছে। এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো, সেই প্রশ্নই এখন বিএনপির অভ্যন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ সাহেবরা সেই হঠকারী সিদ্ধান্তের জবাব দিতে পারেন না তো, সে জন্য কর্মীদের কাছে উঁচু গলায় কথা বলে কর্মীদের আশ্বস্ত করতে চান, অন্য কোনও কিছু নয়।’