নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের চুরি, দুর্নীতির কারণেই বিদ্যুতের ভয়াবহ বিপর্যয় হচ্ছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিলে পালাবাবার পথ পাবে না সরকার। পালাতে হল সেফ এক্সিট দিতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব বলেন।
তিনি বলেন, জনগনকে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাতে হবে। ‘৯০ এর ছাত্র অভ্যত্থান সফল হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আজকেও জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে নেমে ভয়াবহ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এই সরকার জাতির যে ক্ষতি করেছে, তা এর আগে ঘটেনি। মৌলিক বিষয়গুলোকে ধ্বংস করেছে। সুপরিকল্পিতভাবে মানুষের অধিকারগুলোকে ধ্বংস করে একনায়ক, ফ্যাসিবাদী জাতিতে পরিণত করতে চলেছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে ৭৪ পৃষ্ঠার মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে -বাংলাদেশে কোনও গণতন্ত্র নেই। জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নেই। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই আসামি। ওনারা কি ঈশ্বর, ওনাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলা যাবে না?
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন,পুরো দেশকে ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় ক্ষমতাসীনরা। গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় বিএনপি। হাজার লোকের প্রাণের বিনিময়ে হলেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো। রাজপথেই সরকারকে পরাজিত করবো। পদত্যাগ করে সেফ এক্সিট নিতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান। তা না হলে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই ডিজিটাল আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছে। রাজবাড়ীতে এক নারীকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। প্রতিদিন তিন-চারবার বিদ্যুৎ চলে যায়। ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। আতশবাজি ফুটিয়ে উৎসব করেছে, এখন বিদ্যুৎ নাই। এটা দুর্নীতির কারণে। মানুষ আর টিকে থাকতে পারছে না।