প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করে বিএনপির এই সরকারের কিছু করার সক্ষমতা নেই। আমরা এর আগেও বলেছি, বাংলাদেশে এমন কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই, যারা আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে পারে। এসব আন্দোলনের খেলা বিএনপির শেষ হয়ে গেছে। তাদের এই আন্দোলনের খেলায় এখন জনগণ বিশ্বাস করে, তাদের এসব ভাঁওতাবাজির কথা ছাড়া আর কিছু নয়।
গতকাল মঙ্গলবার কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমরা বারবার বলে এসেছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণমূলক হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে। যেসব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সক্ষমতা আছে, তারা অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবে। যদি কেউ নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে তারাই পরবর্তীতে রাজনৈতিক সংকটে পড়বে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, হত্যা, সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র। তাদের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই কাজ করে এসেছে। বিশেষ করে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হত্যা-সন্ত্রাস করেছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৩, ’১৪ ও ’১৫ সালে আন্দোলনের নামে তারা পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। এগুলো দেশবাসী জানে। তবে তার যে পরিণতি ভালো হয় না, সেটি নিশ্চয়ই বিএনপির উপলব্ধিতে এসেছে, হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার পর যে শাস্তি পেতে হয়, সেটি তারা জানে।
নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, যেসব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সক্ষমতা আছে, তারা সবাই নির্বাচনে অংশ নেবে। যাদের মধ্যে সক্ষমতা নেই, তারাই বেশি নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের শঙ্কার কথা বলে বেড়ায়।
এসময় আক্তারুজ্জামান লাবুর সভাপতিত্বে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।