প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর পতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৯ দশমিক ১০ শতাংশ।

ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকার। আর সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট লেনদেন হয় ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকার।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ২ টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৮ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৬ হাজার ৫৯৫ শেয়ার ৪০ বার লেনদেন হয়, যার বাজারদর ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ২৫ দশমিক ১৬ আর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে পিই রেশিও ২৩ দশমিক ২২।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৫ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮৩ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২২) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৯ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৮৭ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮৩ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৭২ পয়সা।

এদিকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৬৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ২৮ পয়সা।

বিমা খাতের কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৪ কোটি দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ২৭ হাজার ২৫৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৪১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার।