নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড লেনদেন করে সাপ্তাহিক লেনদেনের দুই দশমিক ৯২ শতাংশ লেনদেন করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানির মোট ছয় কোটি ৪১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩১টি শেয়ার লেনদেন হয়। এর বাজারদর ১৮৩ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬২ পয়সা। চলতি মাসের প্রথম ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ৫৮ পয়সা।
২০১৪ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের সমান। ওই বছর ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ছয় পয়সা এবং এনএভি ছিল ৮৫ টাকা ৬২ পয়সা। কোম্পানিটি কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩৪ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। চলতি বছরে প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছিল ৩৪ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ১৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সময়ে এনএভি ছিল ৮৪ টাকা ২৭ পয়সা। এটি চলতি বছরে ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৮৩ টাকা ৮৪ পয়সা।
এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৯১ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ চার হাজার ৪৫৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির এক কোটি ৮৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭১০টি শেয়ার মোট সাত হাজার ৭৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৫ কোটি ৭০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে চার দশমিক ৪৮ শতাংশ বা এক টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩০ টাকা ৪০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৩২ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটির মোট ৬৯ কোটি ১১ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৫৫ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার।