প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

সাপ্তাহিক লেনদেনের ৮.৪৫% বেক্সিমকোর

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির চার কোটি ৬১ লাখ ২৭ হাজার ৯৩১টি শেয়ার ৬৯৬ কোটি ২৪ লাখ ১৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের আট দশমিক ৪৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর সাত দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সবশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর পাঁচ দশমিক ৭৪ শতাংশ বা আট টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৫৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬১ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৮৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।

এদিকে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে সাত টাকা ৫৩ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৮ টাকা ২৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পপানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা লোকসান।

এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪ পয়সা। অর্থাৎ, ইপিএস বেড়েছে তিন টাকা ৯৭ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা ৪২ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৪ পয়সা।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে ২১ দশমিক ৩০। এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৯ দশমিক ৭৬।

‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫ হাজার ৮১৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৮৭ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৭৯ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ১৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার।

আর লেনদেনের এ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দুই কোটি ৮১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৪৩টি শেয়ার ৩৮৭ কোটি ৬৫ লাখ পাঁচ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৭০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৭০ শতাংশ বা দুই টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ৭১ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮টি শেয়ার মোট আট হাজার ৫২০ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪৭ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৪৮ টাকায় ওঠানামা করে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৭২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ২৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৭৮ পয়সা।