প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের ইপিএস কমেছে ২৫ পয়সা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস লিমিটেডের ইপিএস কমেছে ২৫ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অনিরীক্ষিত প্রান্তিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস লিমিটেডের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে  শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ৫০ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ২৫ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) ১৬ টাকা ৯৮ পয়সা দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময় ১৬ টাকা ৭৪ পয়সা ছিল। তিন মাসে এনএভি ২৪ পয়সা বেড়েছে।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯৯ লাখ ২৭ হাজার ২৭৬টি শেয়ার এক হাজার ৭৬৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৮ কোটি ৭৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২১৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৭৪ পয়সা।

ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামীকাল সকাল ১০টায় চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারে (সিঅ্যান্ডবি মোড়, চট্টগ্রাম) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা ছিল ২৭ নভেম্বর।

২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬১ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ২ টাকা ১ পয়সা ও ১৯ টাকা ৩১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৪৫ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৩৫ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ১৬) ইপিএস হয়েছে ৩১ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৫৪ পয়সা। ইপিএস কমেছে ২৪ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ১৬ টাকা ৭৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৭ টাকা ৬৩ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৯৭ পয়সা। ইপিএস কমেছে ৬২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, যা প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ৫০ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট ২১ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার রয়েছে।