নিজস্ব প্রতিবেদক: স্টক ব্রোকার/স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকারদের নিজস্ব ও গ্রাহকদের পোর্টফোলিওতে পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির (আনরিয়েলাইজড লস) বিপরীতে রক্ষিত প্রভিশনের মেয়াদ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বর ২০১৬ হতে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) ৫টি ত্রৈমাসিক সমান অংশে (২০ শতাংশ) সংরক্ষণের ঐচ্ছিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে নির্দেশনা জারি করে চিঠি পাঠিয়েছে। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর বিএসইসির অনুষ্ঠিত ৫৯৪তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককারদের ধারণ করা শেয়ারের ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখভিত্তিক (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিত প্রভিশন ডিসেম্বর ২০১৬ হতে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) ৫টি ত্রৈমাসিক সমান অংশে (২০ শতাংশ) সংরক্ষণের ঐচ্ছিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
গ্রাহকদের অনুকূলে বণ্টন করা মার্জিন ঋণের মাধ্যমে ক্রয় করা শেয়ারের ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখভিত্তিক (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিত প্রভিশন ডিসেম্বর ২০১৬ হতে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) পাঁচটি ত্রৈমাসিক সমান অংশে (২০ শতাংশ) সংরক্ষণের ঐচ্ছিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে এসব সুবিধা কেবলমাত্র ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত বছরে (অথবা প্রযোজ্য আর্থিক বছর অনুযায়ী) উদ্ভুত পুনর্মূল্যায়নজনিত ক্ষতির (অনাদায়কৃত) প্রভিশনের জন্য প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে ২০১৬ সালের মূল্য হ্রাসজনিত ক্ষতিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। তৎপরবর্তী সময়ে রক্ষিত প্রভিশন (যদি থাকে) যথানিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, এ সুযোগসমূহ গ্রহণ করার ফলে উক্ত আর্থিক বছরের জন্য কোনো ধরনের নগদ লভ্যাংশ দেওয়া যাবে না।