প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

সিঙ্গার বাংলাদেশের ঋণমান ‘এএএ’ ও ‘এসটি-১’

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।

এদিকে কভিড-১৯, সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ার প্রভাবে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৫১ শতাংশ কমেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের। চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২২) ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৩১ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল চার টাকা ৬৯ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে দুই টাকা ৩৮ পয়সা বা প্রায় ৫১ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল দুই টাকা ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে এক টাকা ৪৯ পয়সা। অন্যদিকে ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৩৮ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৬ টাকা সাত পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৬ টাকা ৯২ পয়সা।

এদিকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ২০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ৬ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৮৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ১৯ পয়সা।