প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার প্রকোপ সিলেটের নি¤œাঞ্চলেও কমতে শুরু করেছে। গতকাল রোববার সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জের নিন্মাঞ্চলের পানি আগের থেকে অনেক কমেছে। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন অনেকেই। খবর: ঢাকা পোস্ট। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা আকস্মিকভাবে পুরোপুরি প্লাবিত হয়ে পড়ে। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন এসব এলাকার জনসাধারণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেয়া তথ্যমতে, সুরমা, কুশিয়ারা, সারির সব কটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় এসব স্থানে পানির পরিমাণ কমেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে গত শনিবার বিকাল ৩টায় ছিল ১৩.৫৮ মিটার, গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় ১৩.৪৬ মিটার। এ নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে শনিবার বিকাল ৩টায় ছিল ১০.৯৭ মিটার, আর গতকাল দুপুর ১২টায় ১০.৯১ মিটার। সুরমার এই দুই পয়েন্টে পানি কমলেও এখনো বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে।

কুশিয়ারা নদীর আমলশিদ পয়েন্টে শনিবার বিকাল ৩টায় পানিসীমা ছিল ১৬.৯১ মিটার, আর রোববার দুপুর ১২টায় ১৬.৭২ মিটার। এ নদীর পানি কমেছে শেওলা পয়েন্টেও। এখানে শনিবার বিকাল ৩টায় ছিল ১৩.৫৯ মিটার, রোববার দুপুর ১২টায় ১৩.৫১ মিটার। এখনো এ নদীর পানি দুই পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে ছিল। তবে কুশিয়ারা নদীর শেরপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বেড়েছে। শেরপুরে শনিবার বিকালে ছিল ৭.৯৪ মিটার, গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় সেখানের পানিসীমা ৮.০০ মিটার। ফেঞ্চুগঞ্জে শনিবার বিকালে ছিল ৯.৮৩ মিটার আর রোববার দুপুর ১২টায় ৯.৯৪ মিটার। লোভা নদীর পানি শনিবার বিকালে ছিল ১৩.৮৬ মিটার, রোববার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৭২ মিটারে। সারি নদের পানি শনিবারে বিকালে ছিল ১০.৯১ মিটার, রোববার দুপুর ১২টায় সেখানের পানিসীমা কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৬৫ মিটারে। এ ছাড়া ধলাই নদের পানিও কমেছে। এ নদের পানিসীমা শনিবার বিকালে ছিল ১০.৬৬ মিটার, রোববার দুপুর ১২টায় তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৩৯ পয়েন্টে।

গতকাল বিকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ বলেন, বন্যার পানি আগের থেকে অনেক কমেছে। কোথাও ধীরে ধীরে আবার কোথাও দ্রæতগতিতে পানি কমছে। তা ছাড়া আজ (গতকাল) সিলেটে প্রচুর রোদ দেখা যাচ্ছে। এভাবে থাকলে পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতির দিকে যাবে।