শেয়ার বিজ ডেস্ক: আগামী ৩১ জুলাই থেকে সীমান্ত পুরোপুরি উম্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন গতকাল এ ঘোষণা দেন। খবর: রয়টার্স।
নিউজিল্যান্ড সরকারের বেঁধে দেয়া পূর্ববর্তী সময়সীমার চেয়ে দুই মাস আগে সীমান্ত খুলে দেয়া হচ্ছে। ফলে যেকোনো পর্যটক এখন নিউজিল্যান্ডে আসতে পারবেন। গতকাল অকল্যান্ডে বিজনেস এনজেডের উদ্বোধনী ভাষণ দেন আরডার্ন। এ সময় তিনি বলেন, সীমান্ত খুলে দিলে দক্ষ শ্রমিক সংকট কমে আসবে। পর্যটন উম্মুক্ত হবে। অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও নিরাপদ হবে। নিউজিল্যান্ডের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য পরীক্ষিত পরিকল্পনা কাঠামো তৈরি করার অঙ্গীকার করেন প্রধানমন্ত্রী।
কভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চে সীমান্তে বিধিনিষেধ আরোপ করে নিউজিল্যান্ড। দেশের বাইরে থেকে প্রবেশে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বন্ধ রাখে। এতে বিদেশি ভ্রমণকারীদের পাশাপাশি নিজ দেশের নাগরিকরাও বাইরে যেতে পারেননি। কভিড সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের যে দেশগুলো সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে, তার মধ্যে নিউজিল্যান্ড অন্যতম। এছাড়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে বিশ্বের সফল দেশগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ড শীর্ষে রয়েছে।
মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত ২৭ ফেব্রæয়ারি সীমান্ত আংশিক খুলে দেয় দেশটির সরকার। তখন পর্যায়ক্রমে এই বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় আটকে থাকা কভিড টিকা নেয়া নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দাদের জন্য এ সুযোগ দেয়া হয়। সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নিউজিল্যান্ড। এরপর বিশ্বের অন্যান্য দেশে অবস্থানরত টিকা নেয়া নাগরিকরা দেশে ফেরা শুরু করেন গত ১৩ মার্চ থেকে। তবে দেশে ফিরে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার শর্ত দেয়া হয়। বাতিল করা হয় সরকারি কোয়ারেন্টাইন সুবিধা। সেই থেকে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা নেই।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে বলেন, ভাইরাসটি আসার আগে জীবন ছিল। করোনা আসার পরেও জীবন থাকবে। আমরা গন্তব্যে পৌঁছানোর পথে ঠিকভাবেই আছি। তবে আমরা এখনই কড়াকড়ি অবস্থান থেকে পুরোপুরি সরে আসছি না।