প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

সুখস্মৃতি নিয়ে নেলসনে মাশরাফি-তামিমরা

ক্রীড়া ডেস্ক: দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে দুটো পথ খোলা থাকে। এক. অসহায় আত্মসমর্পণ। দুই. ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করা। মাশরাফি বিন মুর্তজা-সাকিব আল হাসানরা যে টাইগার! তাইতো দ্বিতীয় পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ক্রাইস্টচার্চে ৭৭ রানে হারের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে নেলসনে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় সফরকারীদের। কেননা এখানেই রয়েছে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডকে হারানোর সুখস্মৃতি।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুটো ম্যাচ খেলতে গতকাল নেলসনে পৌঁছায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পরিপাটি শহরে পা রেখেই দুপুর দেড়টায় দল উঠেছে ছোট্ট পরিপাটি হোটেল ট্রেইলওয়েজে।

ক্রাইস্টচার্চ থেকে বিমানে নেলসনে পৌঁছান টাইগার ক্রিকেটাররা। প্রথম দিনটি শহরে আড্ডায় কাটিয়েছেন তারা। যেখানে উঠে এসেছে দারুণ এক সুখস্মৃতি! ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এই নেলসনেই মুখোমুখি হয়েছিল গোটা দল। যেখানে স্কটিশদের দেওয়া ৩১৮ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। যা কিনা এখন পর্যন্ত টাইগারদের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।

সেই ম্যাচ অনুপ্রেরণা হচ্ছে তামিম ইকবালের জন্যও। দেশের মাঠে দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে সেখানে ৯৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। দলও পায় স্বপ্নের মতো এক জয়। গতকাল সেই ম্যাচ নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন তিনি।

তামিম ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেখুন, যে কোনো ভেন্যুতে কারও ভালো ইনিংস খেলার রেকর্ড থাকলে সেটা অবশ্যই দুর্দান্ত ব্যাপার। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, মাঠে নেমে আমি আবারও ৯৫ রান করে ফেলবো। সত্যি বলতে কি, আমি শূন্য রানেও আউট হতে পারি। আগে যেটাই করি, আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে আমাকে।’

সন্দেহ নেই, সেই ইনিংস এবারও তাতিয়ে দেবে তামিমকে। তবে ক্রিকেটে এমন অতীত খুব একটা কাজে দেয় না। কারণ প্রতিটি ম্যাচই নতুন। তার ওপর নিউজিল্যান্ডের বৈরিী কন্ডিশন। যার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ব্যাটসম্যানরা সেই পরীক্ষায় সফল। সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে প্রথম ওয়ানডেতে এসেছে হাফ সেঞ্চুরি।

রান পেয়েছেন মুশফিকুর রহীমও। যদিও হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আক্রান্ত তিনি। ৪৮ ঘণ্টা না গেলে জানা যাবে না আদৌ তিনি পরের দুই ওয়ানডেতে খেলতে পারবেন কিনা। সেক্ষেত্রে একাদশে দেখা যাবে নুরুল হাসান সোহানকে।

তবে স্বস্তির কথা হলো ইনজুরি কাটিয়ে গত ম্যাচেই ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ওয়ানডেতে কিউইদের দুটো উইকেটও শিকার করেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি এ নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন। কেননা, পেস আক্রমণে কাটার মাস্টারই ম্যাশের বড় ভরসার নাম। সঙ্গে স্পিনে সাফল্যধারাতেই আছেন অভিজ্ঞ সাকিব।

সব মিলিয়ে ফেরার লড়াইয়ে জ্বলে ওঠার অনেক প্রেরণাই আছে বাংলাদেশের। এখন শুধু শক্তিশালী কিউইদের বিপক্ষে একটা জয় চাই।