প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

সূচক ও লেনদেন কমেছে, ছয়টি বাদে সব খাতে দরপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক কমার মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। এছাড়া সূচকের পতনে ছয়টি ছাড়া বাকি সব খাতে শেয়ারদরে পতন হয়েছে। শুধু একটি খাতে শেয়ারদর বেড়েছে। এদিন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল আর্থিক খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর পতনেও কিছুটা বেড়েছে। আর বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে বিমা খাতের শেয়ারে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আর্থিক খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে চারটির দর বেড়েছে এবং দুটির দর অপরিবর্তিত ছিল। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, সিমেন্ট এবং বস্ত্র খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় বিমা খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ১ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাত। চতুর্থ স্থানে থাকা পাট খাতে ১ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৩২৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৪৯  কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২০৬ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২১৫ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫২ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৭টি এবং কমেছে ৮২টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২১৩টির।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ৪৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৩টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩২ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৭১ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২৪ দশমিক ৫০ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ২০ দশমিক ২১ পয়েন্ট এবং সিএসআই ২ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২২ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে, ১১ হাজার পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৫৬ দশমিক ৭২ পয়েন্টে।