প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

সৈয়দপুরে প্রতিদিন সোয়া লাখ টাকার পিঠা বিক্রি

 

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর: অগ্রহায়ণ মাসে নতুন ধান ঘরে ওঠার সঙ্গে নীলফামারীর সৈয়দপুরসহ আশপাশের হাটবাজারে জমে উঠেছে পিঠা ব্যবসা। উপজেলার প্রায় ৬০টি স্থানে চলছে পিঠা বেচাকেনার ধুম। প্রতিদিন উপজেলায় প্রায় সোয়া লাখ টাকার পিঠা বিক্রি হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে পিঠা বিকিকিনি। ওই সময় পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ১০ লাখ টাকার পিঠা বেচাকেনা হবে।

পৌর এলাকার ক্যান্টনমেন্ট রোড মোড়ের পিঠা বিক্রেতা আবদুল জলিল বছরের অন্য সময় রিকশাভ্যান চালান। কিন্তু শীত মৌসুমে তিনি পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন গড়ে তিনি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। কামারপুকুর ইউনিয়নের পিঠা বিক্রেতা নজরুল ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ফাতেমা জানান, নভেম্বরের শুরুতে শীতের আমেজ শুরু হলেও হাট-বাজারগুলোয় নভেম্বরের মাঝামাঝি পিঠা বিক্রি শুরু হয়। নতুন ধান ঘরে আসার সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকায় শুরু হয় পিঠা বিক্রির উৎসব। এসব পিঠার মধ্যে রয়েছে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, গুড়গুড়ি পিঠা (সিদ্ধ পিঠা), তেল পিঠা, পাটিশাপটা পিঠা ইত্যাদি। তারা জানান, এর মধ্যে ভাপা ও চিতই পিঠা বেশি বিক্রি হয়। প্রতিদিন গড়ে তাদের দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা আসে পিঠা বিক্রি থেকে। পিঠা বিক্রিতে কি পরিমাণ লাভ হয় জানতে চাইলে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের পিঠা বিক্রেতা আনিসুর জানান, চাল, নারিকেল, গুড়, তেল, জ্বালানি খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন ৫-৬শ টাকা আয় হয়। গত কয়েক দিনে চৌমুহনী বাজার, শখের বাজার, সাইলার মোড়, কামারপুকুর বাজার, মতির মোড়, ধলাগাছ বাজার, নিজামের চৌপথী, কাশিরামের হাজারীহাট বাজার, সিপাইগঞ্জ বাজার, খতামধুপুরের খিয়ারজুম্মা, খালিসা বাজার, হামুরহাট বাজার, বোতলাগাড়ীর জিয়ার বাজার, পোড়াহাট বাজার, ঢেলাপীর হাট, সোনাপুকুর, শহরের পোস্ট অফিস মোড়, গোলাহাট, পাঁচমাথা মোড়, বাস টার্মিনাল, পুরাতন বাবুপাড়া, মুন্সিপাড়া, কাজীপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, হাতিখানাসহ বিভিন্ন এলাকার পিঠা বিক্রেতারা একই কথা জানান।