নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘোষণা দেয়া হয়েছে সোডা অ্যাশ। কিন্তু কনটেইনার খুলে মিলল দামি ব্র্যান্ডের মদ; শুল্ককরসহ যার মূল্য ১৭ কোটি টাকার বেশি। মিথ্যা ঘোষণার এমন একটি মদের চালান জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এই মদ জব্দ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মো. সাইফুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজধানীর বংশাল এলাকার বিসমিল্লাহ করপোরেশন ১৩ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৭ হাজার কেজি সোডা অ্যাশের একটি চালান আমদানি করে। সোডা অ্যাশ নয়, মদ আমদানি করা হয়েছেÑ জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে চালানটি খালাস স্থগিত করা হয়। তবে আমদানিকারকরা চালানটি বন্দর থেকে কনটেইনার ডিপোতে স্থানান্তরের চেষ্টা করেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিমের সদস্যরা ৪০ ফিটের কনটেইনারটি রিস্ক ম্যানেজমেন্টের আওতায় নজরদারি করে। পরে গতকাল বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে থাকা কনটেইনারটি খুলে কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কনটেইনারে সোডা অ্যাশের পরিবর্তে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি ১৬ হাজার ৮২৪ লিটার মদ পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছেÑভদকা, ডাবল ব্ল্যাক, ব্ল্যাক লেভেল, সিভাস রিগাল, হুইস্কি প্রভৃতি; যার আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য দুই কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এগুলোয় প্রযোজ্য শুল্ককর প্রায় ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আমদানিকারকরা সোডা অ্যাশের জন্য ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রদান করার কথা। আর যাদের মদ আমদানির অনুমতি আছে, তাদের জন্য মদ আমদানি ক্ষেত্রে ৬০৫ দশমিক ৮০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এ দপ্তরের এআইআর টিমের সার্বক্ষণিক নজরদারি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আন্তঃযোগাযোগের ফলে বিপুল রাজস্ব ফাঁকির এই ঘটনা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।