নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের টেকনাফ শাখা থেকে অর্থ হাতানোর চেষ্টা করে ধরা পড়েছে একটি চক্র। তবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের চেষ্টায় চক্রটি কোনো টাকা নিতে পারেনি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক ব্যক্তির নামে ভুয়া অ্যাডভাইসপত্র (সরকারি চাকরিজীবীর আনুতোষিক) দাখিল করে প্রায় ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেছে সোনালী ব্যাংক। গতকাল ব্যাংকের গণসংযোগ বিভাগ থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সোনালী ব্যাংক জানিয়েছে, কর্মকর্তাদের সচেতনতায় আবার রক্ষা পেল সরকারি অর্থ। সোনালী ব্যাংকের কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী টেকনাফ শাখায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক ব্যক্তির নামে ভুয়া অ্যাডভাইসপত্র দিয়ে প্রায় ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে একটি চক্র। প্রাণিসম্পদ বিভাগের একজন ভুয়া কর্মচারীর নামে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত একটি অ্যাডভাইসপত্র কালেকশনের জন্য ব্যাংকে জমা করা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে তারা যোগাযোগ করেন। পর্যবেক্ষণে দুর্নীতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে অ্যাডভাইসটির বিপরীতে সরকারি অর্থ উত্তোলন আটকে দেয়া হয়।
শাখা ম্যানেজার জানান, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শাহনেওয়াজ,
বেনিফিসিয়ারি মো. শাহাবুদ্দিন ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের অডিটর আবুল বশর এ কাজে জড়িত ছিলেন। বেনিফিসিয়ারি শাহাবুদ্দিন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মচারী ছিলেন না। কিন্তু তার নামে ভুয়া বিল প্রস্তুত ও স্বাক্ষর নকল করে টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার সঙ্গে ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার যোগাযোগ করে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
উল্লেখ্য এ সপ্তাহে গাজীপুরের শ্রীপুরে ভুয়া অ্যাডভাইসপত্র দাখিল করে সোনালী ব্যাংক থেকে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে একটি চক্র। তবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দক্ষতায় বিষয়টি ভুয়া প্রমাণিত হয় এবং সরকারি অর্থ রক্ষা পায়। শ্রীপুরে সংশ্লিষ্ট কাজে অভিযুক্ত ৯ জনের বিরুদ্ধে শাখা ম্যানেজার মামলা করেন। তার মধ্যে পাঁচজন ইতোমধ্যে আটক হয়েছে।
