প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

বেঙ্গল উইন্ডসোরের সঙ্গে একীভূত হলো দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদন: তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক লিমিটেডের সঙ্গে কোম্পানিটির দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল পেট্রকেম ও সিনথেটিক টেক্সটাইলস লিমিটেড একীভূত হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি সহযোগী প্রতিষ্ঠান দুটির সত্যায়িত কপি জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নিবন্ধন হয়েছে। তাই ওই তারিখেই কোম্পানির একীভূতকরণের তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত সহযোগী কোম্পানি দুটির একীভূতকরণের অনুমতি দেয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, হস্তান্তরকারী এবং হস্তান্তরিত কোম্পানি জাজমেন্ট সত্যায়িত কপি জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে জমা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, প্রকৌশল খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল কোম্পানির শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে এক দশমিক ৮১ শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫০ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪০ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে আট লাখ ৮৯ হাজার ৪৫০টি শেয়ার মোট ৭৬২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ৪৭ লাখ চার হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৫৬ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০৮ কোটি ছয় লাখ টাকা।

৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৫৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৫৯ পয়সা। ওই বছর কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২১ কোটি ১৬ লাখ  ২০ হাজার টাকা।

২০১৫ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ  বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছরের চেয়ে ১৩ শতাংশ কম। ওই সময় ইপিএস ছিল দুই টাকা ৫৭ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছিল ২৮ টাকা ৬৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা পাঁচ পয়সা ও ২৬ টাকা ৮৯ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২৩ কোটি ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৫৬ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময় ছিল ৬২ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ছয় পয়সা। অন্যদিকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির এনএভি ২৯ টাকা ১৫ পয়সা দাঁড়িয়েছে, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ২৮ টাকা ৫৯ পয়সা। তিন মাসের এনএভি ৫৬ পয়সা কমেছে। সবশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারমূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ১৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২২ দশমিক পাঁচ শতাংশ। কোম্পানির মোট আট কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।