নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিসংঘ সমর্থিত পাবলিক হেলথ অরগানাইজেশন, মেডিসিনস পেটেন্ট পুল (এমপিপি) হেপাটাইটিস ‘সি’ রোগের নতুন ওষুধ ব্রিস্টল-মিয়ার্স স্কুইব এর ‘ডেক্লাটাসভির’ প্রস্তুতের জন্য বেক্সিমকো ফার্মাকে সাব-লাইসেন্স দেন। সম্প্রতি এ লাইসেন্স দেন এমপিপি। বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি হিসেবে এমপিপির সাব-লাইসেন্স পেলো বেক্সিমকো।
এইচসিভি ভাইরাসের সব জেনোটাইপসের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে ‘ডেক্লাটাসভির’। ২০১৪ সালের আগস্টে ইউরোপে রেগুলেটরি অনুমোদন লাভ করে ওষুধটি এবং ২০১৫ সালের এপ্রিলে অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগ হিসেবে ডব্লিউএইচও’র মডেল লিস্টে স্থান করে নেয় ওষুধটি। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এ ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের নভেম্বরে এমপিপি, ব্রিস্টল-মিয়ার্স স্কুইবের সঙ্গে একটি টেকনোলজি ট্রান্সফার চুক্তি করে।
এমপিপি’র নেটওয়ার্কে বেক্সিমকো ফার্মার সংযুক্তি সম্পর্কে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি হিসেবে এমপিপির নেটওয়ার্কে জায়গা করে নেওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের প্রতিযোগিতামূলক উৎপাদন খরচের সাহায্যে এ ওষুধের সহজলভ্যতা আমরা নিশ্চিত করতে পারবো যার মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি রোগের অত্যন্ত কার্যকরী এ ওষুধ নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে সহজলভ্য হবে।’
এইচআইভি, ভাইরাল হেপাটাইটিস ‘সি’ এবং যক্ষ্মা চিকিৎসা নিয়ে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে কাজ করছে এমপিপি। এমপিপি সরকার, শিল্প, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, রোগী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করে। এমপিপি সবসময় স্বত্ব ঠিক রেখে উৎপাদন বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। উন্নয়নশীল বিশ্বের ১৩১টি দেশে এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সি’র চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বর্তমানে ১৫টি জেনেরিক কোম্পানির সঙ্গে ১০০টির বেশি প্রকল্পে কাজ করছে এমপিপি।
এখন পর্যন্ত ‘ডেক্লাটাসভির’ এর সাব-লাইসেন্স পেয়েছে স্যান্ডোজ, অরবিন্দ, সিপলা, এমকিউর, হেটেরো, লোরাস, ন্যাটকো ফার্মা লিমিটেড এবং জিডাস ক্যাডিলা।