প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

১২ লাখ টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

সোহেল রহমান: আগামী ২০১৭ সালের জানুয়ারি-জুন প্রান্তিকের জন্য উš§ুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় তিন ক্যাটাগরির প্রায় ১২ লাখ টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৯ লাখ ৬৫ হাজার টন (সাত দশমিক ১৯৮ ব্যারেল) গ্যাস অয়েল (ডিজেল); ৯০ হাজার টন (দশমিক ৭২০ ব্যারেল) জেট এ-১ ফুয়েল এবং এক লাখ ২০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল রয়েছে। প্রিমিয়ামসহ তিন ক্যাটাগরির এ জ্বালানি তেল ক্রয়ে ব্যয় হবে ৫২ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ আনুমানিক চার হাজার ১৫০ কোটি টাকা। গত বুধবার ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ইউনিপেক সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড’ ডিজেল ও জেট এ-১ ফুয়েল এবং একই দেশের ‘ভিতল এশিয়া পিটিই লিমিটেড’ ফার্নেস অয়েল সরবরাহ করবে। তিনটি গ্রুপে (এ, বি ও সি) বিভক্ত এ জ্বালানি তেল আমদানির দরপত্র প্রক্রিয়ায় ‘এ’ গ্রুপে ৯টি, ‘বি’ গ্রুপে আটটি ও ‘সি’ গ্রুপে ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপে দুটি একই প্রতিষ্ঠান এবং ‘সি’ গ্রুপে একটি প্রতিষ্ঠান নন-রেসপনসিভ হিসেবে বিবেচিত হয়। অবশিষ্টগুলোর মধ্যে সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠান দুটিকে মনোনিত করা হয়েছে বলে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়।

সূত্র জানায়, গত ৩১ অক্টোবরের রেফারেন্স মূল্য অনুযায়ী, প্রতি ব্যারেল ৫৯ দশমিক ৩৬ ডলার দরে দুই গ্রুপে প্রায় ৭২ লাখ ব্যারেল ডিজেলের মূল্য ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। এর সঙ্গে ব্যারেলপ্রতি প্রিমিয়াম যুক্ত হবে প্রথম গ্রুপে ২ দশমিক ১৬ ডলার এবং দ্বিতীয় গ্রুপে ২ দশমিক ০৮ ডলার।

একই তারিখের রেফারেন্স মূল্য অনুযায়ী,  প্রতি ব্যারেল ৫৯ দশমিক ৩ ডলার দরে দুই গ্রুপে সাত লাখ ২০ হাজার ব্যারেল জেট এ-১ ফুয়েলের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার। উভয় ক্ষেত্রেই ব্যারেলপ্রতি প্রিমিয়াম যুক্ত হবে ২ দশমিক ৭৬ ডলার।

এছাড়া প্রতি টন ২৮৬ দশমিক ১১ ডলার হিসাবে এক লাখ ২০ হাজার টন ফার্নেস অয়েলের মূল্য ধরা হয়েছে তিন কোটি ৪৩ লাখ ৩৩ হাজার ডলার। এর সঙ্গে টনপ্রতি প্রিমিয়াম যুক্ত হবে ১৫ দশমিক ৮০ ডলার।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২০১৭ সালের পঞ্জিকা বছরে দেশে উল্লিখিত তিন ক্যাটাগরির জ্বালানির চাহিদার পরিমাণ হচ্ছে ৪৬ লাখ ৮০ হাজার টন। এর মধ্যে সরকার টু সরকার (জি টু জি) পর্যায়ে তিন ক্যাটাগরির প্রায় ২৪ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছর থেকে দেশের জ্বালানি চাহিদার ৫০ শতাংশ জি টু জি বা সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ উš§ুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করা হবে।