প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

১৪ বছরেও কাজে আসেনি এক্স-রে মেশিন ঢুকেছে ইঁদুর

ঝিনাইদহ সরকারি শিশু হাসপাতাল

প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ : ১৪ বছরেও কাজে আসেনি ঝিনাইদহ সরকারি শিশু হাসপাতালকে দেয়া ৬০ লাখ টাকার এক্স-রে মেশিন। এরই মধ্যে ইঁদুরে কেটেছে এক্স-রে মেশিনের তার (ক্যাবলস)। ফলে বছরের পর বছর অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে মেশিনটি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সরকারি শিশু হাসপাতালের জন্য ২০০৮ সালে লিসটেম-৫০০ মডেলের একটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন পাঠায় সরকার। শিশুদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য এক্স-রে মেশিনটি খুবই জরুরি ছিল। ছয় বছর শিশু হাসপাতালের স্টোরে বাক্সবন্দি ছিল মেশিনটি। এরপর বহু চিঠি চালাচালি করে ২০১৪ সালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনটি আনা হয়। এরই মধ্যে এক্স-রে মেশিনের মধ্যে ইঁদুর ঢুকে তার কেটে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কম্পিউটারাইজড সিস্টেম নষ্ট করে দিয়েছে। মেরামত করে চালানোর চেষ্টা করা হলেও মেশিনটির সব অংশ সচল করা যায়নি।

সদর হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগে সাত বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিনটি। আগামী জুনে বরাদ্দ এলে এটি মেরামত করা হতে পারে।

হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের দায়িত্বে থাকা শফিকুল ইসলাম বলেন, ??‘২০০৮ সালে শিশু হাসপাতালের জন্য মেশিনটি বরাদ্দ দেয় সরকার। লিসটেম-৫০০ মডেলের এক্স-রে মেশিনটির মূল্য আনুমানিক ৬০-৭০ লাখ টাকা। ওই সময় এক্স-রে মেশিনটি অত্যাধুনিক ছিল। কিন্তু ইঁদুর ঢুকে মেশিনের তার কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। এক্স-রে মেশিনের ফ্লসকপি সাইট নষ্ট হলেও রেডিওগ্রাফি সাইটটি সচল ছিল। মেরামতের অভাবে এখন পুরোটাই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বরাদ্দ পেলে আগামী জুনে মেরামত করার চেষ্টা করা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক আলী হাসান ফরিদ বলেন, ‘আমি ২০২১ সালে এই হাসপাতালে যোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে শিশু হাসপাতালের জন্য এক্স-রে মেশিনসহ বহু যন্ত্রপাতির চাহিদা মন্ত্রণালয়ে দেয়া আছে।’

এক্স-রে মেশিনটি শিশু হাসপাতালে দীর্ঘদিন পড়েছিল জানিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ভালো থাকা অবস্থায় এক্স-রে মেশিনটি শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই মেশিনের বিভিন্ন সাইট নষ্ট হয়েছে। এক্স-রে মেশিনটি মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে সচল করা হবে।’