প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে অনিশ্চয়তায় সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা যাবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা নেই। সরকারের কাছে এ প্রকল্পের আর্থিক-সংশ্লিষ্টতা যথার্থ মনে না হলে অ্যালাউ নাও করতে পারে।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেটি সরকারের অর্থছাড় দেয়া বা না দেয়ার ওপর নির্ভর করছে। ইভিএম কেনার প্রকল্প সরকার যথার্থ মনে না করলে এ প্রকল্প অনুমোদন না-ও দিতে পারে। তবে এটাও ঠিক, ব্যালট বা ইভিএমের চেয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানই বর্তমান কমিশনের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর শুরুতেই ইভিএম সমর্থন করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় নিয়ে বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইভিএম বোঝার চেষ্টা করেছি। ব্যাপক আলোচনা করেছি। অংশগ্রহণমূলক আলোচনাও হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপি হয়, তা কেউ প্রমাণ করতে পারেননি। বরং সবাই একমত হয়েছেন যে ইভিএম দিয়ে হ্যাকিং সম্ভব নয়। এখন প্রকাশ্যে সবাই বলছেন, অন্তত ইভিএম দিয়ে হ্যাকিং সম্ভব নয়। এ ধারণা কিন্তু আগে ছিল না। বিচার-বিশ্লেষণ ও আলোচনার পর এ ধারণা হয়েছে।

সিইসি আরও বলেন, ইভিএম বা ব্যালট মূল কথা নয়। সবাইকে চেষ্টা করতে হবে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের, সেটাই মূল কথা। সেখানে ইভিএম ব্যবহার হলো, না ব্যালট ব্যবহার হলো সেটা বড় কথা নয়।

এ সময় সব রাজনৈতিক দলের প্রতি নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমরা সবাইকে বলছি, আপনারা নির্বাচনে অংশ নিন, নির্বাচন ফলপ্রসূ করুন। যাতে নির্বাচন সুন্দর হয়, সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।

এক প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিভিন্ন দূতাবাস-সংশ্লিষ্টরা নির্বাচন নিয়ে নানা মত দিচ্ছেন। কিন্তু নির্বাচন প্রভাবিত করেÑ এমন কথা তারা বলেননি। তারা যথেষ্ট প্রশিক্ষিত কূটনীতিক। নির্বাচন প্রভাবিত করার মতো কোনো কথা অন্তত তারা আমাদের বলবেন না।

উল্লেখ্য, এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা প্রায় সবাই-ই অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।