শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী উড়োজাহাজে যাত্রী চলাচল ২০১৬ সালে ফের বেড়েছে। কম খরচের উড়োজাহাজগুলো এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে ২০১৫ সালের বৃদ্ধির তুলনায় গত বছরের হার কম ছিল। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অরগানাইজেশন (আইসিএও) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপি।
তথ্যমতে, গত বছর আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোতে মোট ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন যাত্রী চলাচল করেছেন। ২০১৫ সালের তুলনায় এর সংখ্যা ৬ শতাংশ বেশি। তবে ২০১৪ সালের চেয়ে ২০১৫ সালে যাত্রী চলাচলের সংখ্যা ৭ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছিল।
গত বছর মধ্যপ্রাচ্যে ১১ দশমিক ২ শতাংশ, এশিয়ায় ৮ শতাংশ, লাতিন আমেরিকায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ও আফ্রিকায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ যাত্রী চলাচল বেড়েছে। এদিকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় বেড়েছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
কানাডার মন্ট্রিলভিত্তিক ওই সংস্থাটি বিবৃতিতে জানায়, প্রতি বছর সীমান্ত অতিক্রমকারী মোট পর্যটকদের অর্ধেকের বেশি উড়োজাহাজে যাতায়াত করেন।
উড়োজাহাজে চলাচলকারী মোট যাত্রীর ২৮ শতাংশই কম খরচের উড়োজাহাজে ভ্রমণ করেছেন। ওই উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো এবারই প্রথম ১ বিলিয়নের বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে।
ইউরোপে কম খরচের উড়োজাহাজ সংস্থা মোট যাত্রীর এক তৃতীয়াংশ পরিবহন করেছে। এশিয়ায় এ সংখ্যা ৩১ শতাংশ ও উত্তর আমেরিকায় ২৫ শতাংশ।
আইসিএও জানিয়েছে, কম খরচের উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর যাত্রী পরিবহন সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী মোট যাত্রী পরিবহনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
উত্তর আমেরিকার মোট যাত্রীর ৪৩ শতাংশই ছিল অভ্যন্তরীণ রুটের। আগের বছরের তুলনায় এটি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। এশিয়ায় অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী বেড়েছে ১০ শতাংশ। আর এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল ভারত ও চীনের। গত বছরে আইসিএও ৬০ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছে। ২০১৫ সালের চেয়ে এটি ২ বিলিয়ন ডলার বেশি। যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জ্বালানির দাম তুলনামূলক কম থাকায় মুনাফা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদন মতে, মোট আয়ের এক-তৃতীয়াংশই এসেছে উত্তর আমেরিকা থেকে। আর এর ৬৬ শতাংশই অভ্যন্তরীণ রুটের পরিবহন থেকে এসেছে।