নিজস্ব প্রতিবেদক: ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েস্টিন-টু নামে নতুন হোটেল স্থাপন করতে যাচ্ছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, আন্তর্জাতিক হোটেল চেইন হায়াত হোটেল ও ওয়েস্টিন যৌথভাবে হোটেলটি পরিচালনা করবে। নতুন হোটেলের জন্য গুলশানে অ্যাক্রোপলিস প্রজেক্টে প্রায় দুই লাখ বর্গফুট জমি কিনছে কোম্পানিটি। প্রতি বর্গফুট ২৫ হাজার টাকা দানে এটি কিনতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগৃহীত টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দেওয়া হবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউনিক হোটেলের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এদিকে ডিসিসি ইউনিক প্রজেক্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পিছিয়ে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে চলে যাচ্ছে, যাতে আগামী বছরের ১ আগস্ট এ প্রকল্পের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটাগরি হিসেবে। গতকাল কোম্পানির ১২ কোটি ৮৩ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ৯২টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৪০৬ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় চার দশমিক ৪৭ শতাংশ বা দুই টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৬ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩৮ টাকা থেকে ৫৪ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। গত এক মাসের দরচিত্রে দেখা যায় গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মাসের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত শেয়ারদর কিছুটা ওঠানামা করলেও গত মাসের ২৩ তারিখ থেকেই বাড়তে থাকে। গত ২৩ তারিখে শেয়ারদর ৪০ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে গতকাল তা ৪৬ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের বিনিয়োগকারীদের ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ১২ মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৪০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা তিন পয়সা। যা আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ২৭ পয়সা ও ৮৭ টাকা ৭৪ পয়সা। আর চলতি মাসের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২১ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৮৯ টাকা ২৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ইউটিসি ভবনে (কনভেনশন হল, লেভেল ৫, ৮ পান্থপথ) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ ছিল ১০ নভেম্বর।
এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৬৭০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। জুন ক্লোজিং কোম্পানিটির চলতি বছরের প্রথম ইপিএস হয়েছে ২৬ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ৪৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ৮৯ টাকা ৪৭ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৮৯ টাকা ২৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে সাত কোটি ৫১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট ২৯ কোটি ৪৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৭ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে এক দশমিক ৭৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।