প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

৮০ কোটি টাকা তুলবে আমান কটন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৮০ কোটি টাকা তোলার জন্য পুঁজিবাজারে আসছে আমান কটন। ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে আসতে ইচ্ছুক কোম্পানিটি। এই টাকা বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে সংগ্রহ করা হবে। বাকি অর্থ ঋণ পরিশোধ ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হবে।

গতকাল শনিবার গাজীপুরে কোম্পানির কারখানা পরিদর্শনে গেলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এসব কথা জানায়।

কোম্পানির কর্তৃপক্ষ জানায়, পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থের ৪৯ কোটি ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা দিয়ে আধুনিক মেশিনারিজ কেনা হবে। এতে কোম্পানিটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৮ থেকে বেড়ে প্রায় ৪৩ মেট্রিক টন হবে। উত্তোলিত অর্থের বাকি অংশের মধ্যে ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ করা হবে। আর চলতি মূলধন হিসেবে ১০ কোটি টাকা ও আইপিওতে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

কোম্পানিটির ফাইন্যান্স ডিরেক্টর মোক্তার হোসেন তালুকদার বলেন, বছরে ছয় হাজার ৭৮০ টন উৎপাদন ক্ষমতার আমান কটনে প্রায় ৯৫-৯৭ শতাংশ উৎপাদন হয়। ভবিষ্যতেও উৎপাদনে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কটনের যে চাহিদা এর মাত্র ৬০ শতাংশ জোগান দেওয়া সম্ভব হয়। ভবিষ্যতে উৎপাদন বাড়লেও চাহিদার ঘাটতি হবে না। এতে বিক্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, আমাদের স্লোগান ‘কাজ করি, দেশ গড়ি’। এ স্লোগানকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। পণ্যের মানের ক্ষেত্রে আমরা কোনো আপস করি না।

আমান কটন ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৭১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করে। এ সময় কোম্পানির  মুনাফা হয় ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় তিন টাকা ২১ পয়সা। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২০১৫-মার্চ ২০১৬) মোট বিক্রি হয় ১১৫ কোটি সাত লাখ টাকা। এ  প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি ৬৪ লাখ বা ইপিএস দুই টাকা ৪৬ পয়সা।

এদিকে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির নিট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২৭৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার। এতে প্রতিটি শেয়ারে সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩৪ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছর এনএভিপিএস ছিল ৩১ টাকা ৮৯ পয়সা।

আমান কটন সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি কটন, পলিস্টার, সিল্কসহ অন্য ফাইবার উৎপাদন করে। আইপিওতে টাকা উত্তোলনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কোম্পানিটির ‘রোড শো’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমান কটনকে আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর ইস্যু রেজিস্টারের দায়িত্বে আছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।