প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

৮৯ শতাংশ দর বেড়ে ফের দাপটে বিমা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচক উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কমে হাজার কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের পতনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর বেশি বেড়েছে। এতে দর কারেকশন এবং বিনিয়োগকারীর মুনাফা সংগ্রহের পর আবার বিনিয়োগে আগ্রহ বেড়েছে। এর আগে একটানা দর বৃদ্ধির পর পতন হয় আলোচ্য খাতটিতে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন আইটি খাতের শেয়ারে। এতে আলোচ্য খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৫১টির দর বেড়েছে এবং ৬টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। ১ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল পাট খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, বিবিধ, সিমেন্ট, প্রকৌশলী, ওষুধ ও রসায়ন এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় আইটি খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা সিরামিক খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপর শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল বস্ত্র খাত।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩২ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ১ হাজার ৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১০৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১০৫টি এবং কমেছে ৭০টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৭৪টির। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩২৫ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৪২ পয়েন্ট ও ডিএসইএস সূচক দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৮ দশমিক ৫০ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৩৭০ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার। আগেরদিন ১৫ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৬৮টি, কমেছে ৬৮টি এবং পরিবর্তন হয়নি ১০১টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৩৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট ও সিএসসিএক্স ২৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৮ দশমিক ৩০ পয়েন্টে ও ১৩ হাজার ৪২১ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ১২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৪০৯ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৬৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে।