Print Date & Time : 3 July 2025 Thursday 8:59 pm

অনলাইনে ১৭ লাখের বেশি করদাতার রিটার্ন দাখিল: এনবিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৭ লাখেরও বেশি করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। একই সময়ে ২১ লাখেরও বেশি করদাতা ই-রিটার্নের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে মোট ১৭ লাখ ১২ হাজার ৪৯২ করদাতা অনলাইনে তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৩২১ করদাতা ই-রিটার্ন নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করেছেন।

এনবিআর জানায়, এনবিআর অটোমেশনের আওতায় অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং স্বতঃস্ফূর্ত রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। করদাতাদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারা বছর ধরে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল এবং অনলাইনে তাৎক্ষণিক আয়কর সনদ প্রদান অব্যাহত ছিল, যা চলমান থাকবে। সেইসঙ্গে রিটার্ন দাখিলের পর করদাতা কর্তৃক রিটার্নে কোনো ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে ‘আয়কর আইন ২০২৩’-এর ১৮০(১) ধারা মোতাবেক মূল রিটার্ন দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে ১৮০(২) ধারায় ঘরে বসেই সহজে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের সুযোগ অব্যাহত থাকবে।

এনবিআর আরও জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট (িি.িবঃধীহনৎ.মড়া.নফ) ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে এবং দ্রুত তাদের ২০২৪-২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করে দাখিলকৃত রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন। একইসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধের সুবিধা ও কর সমন্বয়ের সুবিধা পাচ্ছেন। এ বিষয়ে কল সেন্টার ও ই-মেইলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। ই-রিটার্ন সিস্টেমটিকে আরও সহজ, সমৃদ্ধ ও করদাতাবান্ধব করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানায় এনবিআর।

এ ছাড়া ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর ১৮০ ধারা অনুযায়ী, করদাতারা তাদের মূল রিটার্ন জমার পর ১৮০ দিনের মধ্যে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের সুযোগ রয়েছে। কোনো ভুল বা অনুল্লিখিত তথ্য পাওয়া গেলে করদাতারা ঘরে বসেই এই সুবিধা নিতে পারবেন।

কর্তৃপক্ষ অনলাইনে রিটার্ন জমা দেয়া সব করদাতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। একইসঙ্গে তারা করদাতাদের রিটার্ন দাখিল এবং সনদ সংগ্রহের জন্য সারা বছর ধরে ডিজিটাল পরিষেবাগুলোর ব্যবহার চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে।