Print Date & Time : 5 August 2025 Tuesday 1:11 am

অবশেষে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে ফিরছে জেলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী : দেশের মধ্য উপকূলের পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বৃহৎ ইলিশের মোকাম মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুরে কিছুটা হলেও প্রাণ ফিরেছে।

আজ সোমবার সকাল থেকে সাগরে মাছ শিকার শেষে অধিকাংশ ট্রলারের জেলেরা কমবেশি ইলিশ নিয়ে ফিরছে। ফলে আড়তগুলোয় কর্মমূখর পরিবেশ ফিরে এসেছে। তবে আহরিত ইলিশের পরিমাণ খুবই কম। এছাড়া অধিকাংশ ইলিশের সাইজও ছোট। ছোট-বড়-মাঝারি সাইজের শতকরা ৬০-৭০ শতাংশ ট্রলারের জেলেরা কমবেশি ইলিশ নিয়ে ফিরতে শুরু হয়েছে।

বেচাকেনার হাকডাকে মহিপুর-আলীপুরে কিছুটা কর্মমুখর পরিবেশ দেখা গেছে। সাইজ ভেদে চার-পাঁচ টায় কেজি থেকে শুরু করে ৭০০-৮০০ গ্রাম এবং এক কেজি পর্যন্ত দামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা মাণ দরে। তবে প্রতি মণে দুই-তিন কেজি করে বেশি ইলিশ হাতিয়ে নেওয়ায় জেলেরা ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তারা মিটার পদ্ধতির ব্যবহা নিশ্চিতের দাবি করেছেন। মৌসুমের দীর্ঘ সময় পরে কমবেশি ইলিশ ধরা পড়ায় জেলে, ট্রলার মালিক ও আড়ত মালিকরা কিছুটা স্বস্তিবোধ করছেন। লোকসানের ধকল কাটানোর আশায় সবাই অপেক্ষার প্রহর কাটাচ্ছেন।

সোমবার দুপুরে এফবি মা জননী ট্রলারের জেলেরা জানান, তারা সকালে ৫৭ মণ ইলিশ নিয়ে ফিরেছেন। ২২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। ছোট্ট, নম্বরবিহীন ট্রলারের মাঝি রুহুল আমিন জানালেন, তিনি ২৫ মণ ইলিশ বিক্রি করেছেন ২৪ হাজার টাকা মণ দরে। তাঁদের আহরিত ইলিশের সাইজ ছোট। চার-পাঁচ টায় এক কেজি হয়েছে। তাই দাম কম। আল্লাহর দান বোটের ইউনুচ মাঝি জানালেন, তিনি প্রায় এক হাজার ইলিশ পেয়েছেন। সাইজ ভালো। তার তথ্যমতে ৭০০ গ্রাম থেকে ৯৫০ গ্রাম সাইজের ইলিশ পেয়েছেন। ৮৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ তিন হাজার টাকা মণ দরে মোট ১৩ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন। এভাবে কমবেশি ইলিশ পাওয়ায় জেলেরা কিছুটা হলেও লোকসান কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ ব্যক্ত করলেন। সকলেরই এক কথা ছিল। অবশেষে ইলিশের দেখা মিলছে। এটি তাঁদের কাছে অনেকটা স্বস্তিদায়ক খবর।

এহিপুর আড়ত মালিক ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা জানান, ৬০-৭০ ভাগ ট্রলারের জেলেরা কমবেশি ইলিশ পেয়েছেন। এখন থেকে ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন তিনি। মোট কথা ইলিশের কমবেশি আমদানি হওয়ায় আড়তগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।