শেয়ার বিজ ডেস্ক : নিজেদের মাঠে চলমান ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতকে আতিথ্য দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ফরম্যাটের সিরিজের এক ম্যাচ বাকি থাকতেই স্বাগতিকরা ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। মূলত ভারতের বিপক্ষে খেললেও অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজের প্রস্তুতি, যার জন্য তারা ক্রিকেটারদের লাল বলের ঘরোয়া ক্রিকেটে পাঠাচ্ছে। ফলে ভারত সিরিজে অবশিষ্ট ওয়ানডে ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলোয়াড়রা যাওয়া-আসার মধ্যে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে ২ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করে ভারত ৯ উইকেটে ২৬৪ রান করে। ভারতের পক্ষে রোহিত শর্মা সর্বোচ্চ ৭৩, শ্রেয়াস আইয়ার ৬১ এবং অক্ষর প্যাটেল ৪৪ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যাডাম জাম্পা ৪ ও জাভিয়ের বার্টলেট ৩ উইকেট নেন। জবাবে ম্যাথু শর্টের ৭৪ ও কপার কনলির ৬১ রানে অজিরা ২২ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য পূর্ণ করে। ভারতের পক্ষে আর্শদীপ, হারশিত ও ওয়াশিংটন ২টি করে উইকেট নেন।
সিডনিতে শনিবার (২৫ অক্টোবর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। ওই ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে স্কোয়াডে পরিবর্তন এনেছে। ব্যাটার মার্নাস লাবুশেনকে বাইরে রেখে ডাক পেয়েছেন জ্যাক এডওয়ার্ডস ও ম্যাথু কুনেম্যান। এডওয়ার্ডস এখনও আন্তর্জাতিক অভিষেক পাননি। কুনেম্যান প্রথম ওয়ানডের পর দল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, আবারও তাকে ডাকা হয়েছে। লাবুশেনও ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া ক্যামেরন গ্রিনের বদলি হিসেবে দলে ফিরেছেন।
অ্যাশেজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে লাল বলের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট শেফিল্ড শিল্ডে কুইন্সল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন লাবুশেন ও সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তবে তারা ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের স্কোয়াডেও কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচে জশ হ্যাজলউড, তিন ম্যাচে শন অ্যাবট দল ছাড়বেন। ইনজুরি কাটিয়ে তৃতীয় ম্যাচ থেকে দলে ফিরবেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এছাড়া বেন দারউইশ চতুর্থ-পঞ্চম, জশ ফিলিপ সব ম্যাচ এবং মাহলি বেয়ার্ডম্যান তৃতীয় ম্যাচ থেকে দলে থাকবেন।
ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ক্যানবেরায় ২৯ অক্টোবর। পরবর্তী ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৩ অক্টোবর মেলবোর্নে, ২ নভেম্বর হোবার্টে, ৬ নভেম্বর গোল্ডকোস্টে ও ৮ নভেম্বর ব্রিসবেনে। ২০ বছর বয়সি পেসার মাহলি বেয়ার্ডম্যানের ডাক দেয়া অল্প বয়সে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী হওয়ায় নজরকাড়া বিষয় হিসেবে ধরা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, মাহলি বেয়ার্ডম্যান (শেষ তিন ম্যাচ), জাভিয়ের বার্টলেট, টিম ডেভিড, বেন ডারউইশ (শেষ দুই ম্যাচ), নাথান এলিস, জশ হ্যাজলউড (প্রথম দুই ম্যাচ), ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস (উইকেটরক্ষক), ম্যাথু কুনেমান, মিচেল ওয়েন, জশ ফিলিপ (উইকেটরক্ষক), ম্যাথু শর্ট, মার্কাস স্টয়নিস ও অ্যাডাম জাম্পা।
এস এস/
প্রিন্ট করুন









Discussion about this post