জেদনী খাঁন : রাজধানী ঢাকার বাসা ভাড়ার চাপে দিশাহারা নিম্ন মধ্যবিত্তরা। আয়ের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে বাসা ভাড়ায়। রাজধানীর ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় সীমার ৪৮টি পরিবারের সঙ্গে পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য ওঠে এসেছে। এদিকে পরিবারের মাসিক আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভাড়ার পেছনে ব্যয় হওয়ায় খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এমনকি সঞ্চয়ের মতো মৌলিক বিষয় অবহেলিত থাকছে। এতে নাগরিকদের জীবনযাত্রা শুধু কষ্টকরই নয়, দীর্ঘ মেয়াদে সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়ছে।
সম্প্রতি শেয়ার বিজের অনুসন্ধানে অংশ নেয়া ৪৮ জন নিম্ন-মধ্যবিত্ত উত্তরদাতার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সবচেয়ে বড় অংশ- ৫৪ দশমিক ১৬ শতাংশ ছিলেন ২৬ থেকে ৩৫ বছরের বয়সী কর্মজীবী মানুষ। এই বয়সকে বলা হয় জীবনের উৎপাদনশীল সময়। অর্থাৎ যখন মানুষ পরিবার গড়ে তোলেন, সন্তানদের পড়াশোনা শুরু হয় এবং সঞ্চয়ের প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু এই বয়সী মানুষরাই সবচেয়ে বেশি ভাড়ার চাপে আক্রান্ত।
অন্যদিকে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ ছিলেন তরুণ যাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ২৫ বছর, এদের অনেকে নতুন কর্মজীবন শুরু করেছেন বা পড়াশোনার পাশাপাশি আংশিক আয় করেন। এছাড়া ২৫ শতাংশ ছিলেন মধ্যবয়সী বয়স ৩৬ থেকে ৫০ বছর, আর ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। অর্থাৎ ভাড়ার চাপ মূলত তরুণ ও মধ্যবয়সীদের জীবনের গতি থামিয়ে দিচ্ছে।
অনুসন্ধানে অংশ নেয়া সদস্যদের পারিবারিক কাঠামোতেও বৈচিত্র্য পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বড় অংশ ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ যাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩ থেকে ৪ জন। অপরদিকে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ পরিবারে ৫ থেকে ৬ জন, ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ পরিবারে ৭ থেকে ৮ জন এবং ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ পরিবারের আকার ছোট যার সদস্য সংখ্যা মাত্র এক থেকে দুজন। ৯ বা তার বেশি সদস্যের পরিবার ছিল খুবই কম যা ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। অতএব, পরিবার যত বড়, ভাড়ার চাপ তত বেশি। ফলে খরচ সামলাতে বাধ্য হয়ে তাদের অন্য খাতে ব্যয় কমিয়ে আনতে হচ্ছে।
অপরদিকে আয় ও ভাড়ার তথ্য মিলিয়ে দেখলে প্রকট বৈষম্য চোখে পড়ে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ পরিবারের মাসিক আয় ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। কিন্তু এর মধ্যে অনেক পরিবারকেই ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। অর্থাৎ তাদের আয়ের অর্ধেকেরও বেশি কেটে যাচ্ছে ভাড়ার পেছনে।
আবার ২৭ দশমিক ০৮ শতাংশ পরিবারের আয় ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। অথচ এদের অনেককে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অর্থাৎ আয়-ভাড়ার অনুপাত ভয়াবহভাবে অস্বাভাবিক। কেউ কেউ এমনও আছেন, যাদের ভাড়া মাসিক আয়ের সমান কিংবা তার চেয়েও বেশি। এটি শুধু অর্থনৈতিক চাপই নয়, একই সঙ্গে সামাজিক অসমতা বাড়ানোর অন্যতম কারণও বটে। মাসিক ভাড়া মিটিয়ে আয়ের যে অংশ অবশিষ্ট থাকে, তার বড় অংশ খাদ্যে ব্যয় হয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পরিবার মাসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা খাবারের পেছনে খরচ করেন। অপরদিকে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ পরিবারকে বাধ্য হয়ে ৩ হাজার টাকার কম খরচে খাদ্য সামাল দিতে হচ্ছে। যার ফলে তারা পরিবারের মৌলিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতেও অক্ষম হয়ে পড়ছেন। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ছে অপুষ্টি, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং জীবনমানের অবনতিতে।
এর ফলে সন্তানদের শিক্ষায় ব্যয় কমাতেও বাধ্য হচ্ছেন অনেক পরিবার। অনুসন্ধানে অংশ নেয়া প্রায় অর্ধেক ৪৫ দশমিক ২৩ শতাংশ পরিবার মাসে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করেন সন্তানদের শিক্ষায়। ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ পরিবার ব্যয় করেন ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। অপরদিকে একাংশ পরিবার বাধ্য হয়েই ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ সীমাবদ্ধ রাখেন। অর্থাৎ অনেক শিশু তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ভালো শিক্ষা পাচ্ছে না শুধুমাত্র ঊর্ধ্বমুখী বাসা ভাড়ার কারণে। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষা খাতের এই বৈষম্য ভবিষ্যৎ প্রজšে§র উন্নয়ন অনেকাংশেই ব্যাহত করবে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চিকিৎসা খাতে ব্যয় কমে যাওয়ার ফলে গুরুতর সমস্যা তৈরি হচ্ছে দিনকে দিন। ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ পরিবার মাসে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ করেন তাদের চিকিৎসার পেছনে, অপরদিকে উল্লেখযোগ্য ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ পরিবারকে ১০ হাজার টাকার বেশি ব্যয় করতে হয়। এক্ষেত্রে যাদের আয়ের সিংহভাগ ভাড়ায় চলে যায়, তাদের পক্ষে চিকিৎসা খরচ সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এতে করে রোগের জটিলতা বেড়ে যায়, দীর্ঘমেয়াদে কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং সমাজে স্বাস্থ্যঝুঁকির হার বেড়ে যায়।
মাসিক আয়ের তুলনায় বাসাভাড়া কেমন? এ প্রশ্নে ৬৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, ‘অনেক বেশি’। ২৯ দশমিক ১৬ শতাংশ বলেছেন, ‘কিছুটা বেশি’। মাত্র ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ মনে করেন ভাড়া মোটামুটি আয় অনুযায়ী সহনীয় এবং কেউই মনে করেননি যে ভাড়া আয় অনুযায়ী ‘ঠিক আছে’ বা ‘কম’। এ থেকে বোঝা যায় যেÑ ঢাকায় বাসাভাড়া একটি সর্বজনীন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সময়ে।
যদি বাসাভাড়া কিছুটা কম হতো, তবে সেই অর্থ কোথায় ব্যয় করতেন? এই প্রশ্নে ৪৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা সঞ্চয় করতেন। ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ পরিবার খাদ্য ও পুষ্টি বাড়াতেন, ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ সন্তানের শিক্ষায় ব্যয় করতেন এবং ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করতেন। অতএব, বাসা ভাড়ার উচ্চহার সরাসরি মানুষের সঞ্চয় ক্ষমতা হ্রাস করছে এবং মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে প্রতিনিয়ত।
এ বিষয়ে আজাদ (ছদ্মনাম) শেয়ার বিজকে বলেন, তিনি ঢাকার একজন মধ্যবিত্ত নাগরিক এবং চার সদস্যের একটি পরিবার নিয়ে রাজধানীতে বসবাস করেন। তার মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা। এই আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশই অর্থাৎ ১২ হাজার টাকা ব্যয় হয় শুধুমাত্র বাসাভাড়ার পেছনে। এর পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া ও বাজার খাতে তার মাসিক ব্যয় ১০ হাজার টাকা, সন্তানের লেখাপড়ায় ৬ হাজার টাকা এবং চিকিৎসা বাবদ খরচ ১ হাজার ৫০০ টাকা।
বাসাভাড়া পরিশোধের পর আজাদের পরিবারের জন্য খুব কম পরিমাণ অর্থ অবশিষ্ট থাকে, যা দিয়ে সব খরচ চালানো তার পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, তার আয় অনুযায়ী বাসাভাড়া ‘অনেক বেশি’ এবং এই চাপে পরিবারে সঞ্চয়ের সুযোগ একেবারেই নেই। তার মতে, যদি বাসাভাড়া কিছুটা কম হতো, তাহলে সেই অতিরিক্ত অর্থ তিনি সন্তানদের শিক্ষা এবং পরিবারের খাদ্য ও পুষ্টির মান উন্নয়নে ব্যয় করতে পারতেন।
অপরদিকে মনিরুল (ছদ্মনাম) নামের নিম্ন আয়ের এক ব্যক্তি শেয়ার বিজকে বলেন, ঢাকার একটি ভাড়া বাসায় তিনি তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তার মাসিক আয় ১৮ হাজার টাকা হলেও তাকে বাসাভাড়া দিতে হয় ২৩ হাজার টাকা, যা তার আয়ের চেয়েও বেশি। প্রতিমাসে খাওয়া-দাওয়া ও বাজার খরচ প্রায় ১৫ হাজার টাকা এবং চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয় আরও ১৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ মাসিক মোট খরচ তার আয়ের প্রায় তিনগুণ। এ চরম বৈষম্যের মধ্যে পরিবার চালাতে তাকে অন্য উৎসের ওপর নির্ভর করতে হয়। তিনি বলেন, তার মা একজন অসুস্থ প্রবীণ নারী, যিনি নিয়মিত ওষুধ খানÑ মাসে তার পেছনেও ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়। চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সময়ে চেক-আপ করাতে হয়, যা আর্থিকভাবে তাকে আরও বিপদে ফেলে দেয়। মনিরুলের স্ত্রী আগে একটি ছোটখাটো চাকরি করতেন, তবে বর্তমানে তিনি বেকার। সংসারে এখন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মনিরুল। তার বাবার রেখে যাওয়া অল্প পেনশন থেকে তার মা কিছু অর্থ পান এবং তার বড় বোন নিয়মিত কিছু আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন। নইলে তার পক্ষে সংসার চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ত।
তিনি মনে করেন, তার আয়ের তুলনায় বাসাভাড়া কিছুটা বেশি, যা বাস্তবে অনেক বেশি হলেও এই সামান্য ‘বেশি’টাই মাস শেষে তাকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলছে। মনিরুল জানিয়েছেন, যদি বাসাভাড়া কিছুটা কম হতো, তাহলে সেই অতিরিক্ত অর্থ তিনি তার মায়ের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করতে পারতেন। তার মতে, চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে তাকে মাসের অন্যান্য প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলোকে বারবার চাপা দিতে হয়।
বরেন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রওনক আরা পারভীন এ বিষয়ে শেয়ার বিজকে বলেন, ‘ম্যাক্স ওয়েবারে’র শ্রেণি বিশ্লেষণ আলোচনার ধারা অনুসারে, আধুনিক পুঁজিবাদী সমাজে অর্থনৈতিক সম্পদের প্রাপ্তি বা বঞ্চনার ভিত্তিতে সামাজিক বিভাজন ক্রমে তীব্রতর হচ্ছে। ঢাকা শহরের প্রেক্ষাপটে বলতে গেলে, স্থানান্তরের মাধ্যমে আগত ভদ্রবেশী নিম্ন-মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী শ্রেণি এই বৈষম্যের অন্যতম ভুক্তভোগী। তারা সামাজিক মর্যাদা রক্ষার্থে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মতো বস্তি বা অনুন্নত এলাকায় চাইলেই বসবাস করতে পারছে না। অন্যদিকে তুলনামূলক উন্নত এলাকায় বসবাস করতে গিয়ে আয়ের তুলনায় অতিরিক্ত বাসা ভাড়া বাধ্য হয়েই বহন করতে হচ্ছে তাদের। ফলস্বরূপ দেখা যাচ্ছে- খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মত মৌলিক চাহিদা পূরণে তারা ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ শ্রেণির বহু ব্যক্তিকে বৃহত্তর পারিবারিক ব্যয়ের দায়িত্বও বহন করতে দেখা যায় অনেক সময়। যা তাদের অর্থনৈতিক চাপকে আরও বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ মেয়াদে এই চাপ তাদের ক্রমে দরিদ্র শ্রেণির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আর তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেও এই চাপ প্রভাব রাখে। এভাবে দিনকে দিন ঢাকা শহরের পুঁজিবাদী কাঠামো একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ তৈরি করছে, অন্যদিকে শ্রেণি বৈষম্যকে আরও গভীরতর করে তুলছে।
বাংলাদেশ ভোক্তা সমিতির (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন শেয়ার বিজকে বলেন, বর্তমান সময়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির আয়ের একটি বড় অংশ বাসা ভাড়ার পেছনে খরচ হয়ে যাচ্ছে। এই ভাড়া নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই, এমনকি এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোরও কোনো সুনির্দিষ্ট স্থান নেই। তার মতে, সরকার ২০০০ সালে বাসভাড়া নিয়ন্ত্রণে একটি আইন প্রণয়ন করলেও আজ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি বা সংশোধনের কোনো উদ্যোগও নেয়া হয়নি। এজন্য তিনি আইনটিকে ‘মৃত আইন’ বলে অভিহিত করেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও তারা কোনো গুরুত্ব দেন না, বরং এড়িয়ে যান, যা ক্রমেই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির জš§ দিচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এর আশপাশের এলাকা, গাজীপুর ও মতিঝিলে ভাড়ার পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একইভাবে মেট্রোরেল চালুর পর মিরপুরে অস্বাভাবিক হারে ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আলোচনা কিংবা সমাধানের উদ্যোগ কোথাও দেখা যাচ্ছে না। তার মতে, ভাড়া নিয়ন্ত্রণে অবহেলা সমাজকে দিন দিন এক গভীর সমস্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সব মিলিয়ে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় যে, ঢাকায় বাসা ভাড়ার নিয়ন্ত্রণহীনতার ফলে পরিবারগুলোর জীবনে অসহনীয় চাপ তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে ভাড়ার এই অস্বাভাবিক বোঝা মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোকে সংকুচিত করছে বারবার এবং তাদের জীবনমানকেও প্রতিনিয়ত নিম্নমানের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন যে, ভাড়ার এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে না আনলে রাজধানীর মধ্যবিত্ত শ্রেণি দ্রুত আর্থিক অনিশ্চয়তা ও সামাজিক সংকটে নিমজ্জিত হবে। এর প্রভাব কেবল ব্যক্তি ও পরিবারে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং জাতীয় অর্থনীতির ওপরও দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Discussion about this post