নিজস্ব প্রতিবেদক : আবারও পতনের মুখে পড়েছে পুঁজিবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকাল আগের কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেনও কিছুটা কমেছে। এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর কমেছে।
সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৩ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪০৮ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৩ দশমিক ৫০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৫০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, গতকাল লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি এবং ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। ডিএসইতে গতকাল মোট ৩৯৮টি কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৭৯টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ২৬৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে ৫১টি ফান্ড ও কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ২২০টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৮টি কোম্পানি ও ফান্ডের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ১৬৫টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর।
একইভাবে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮২টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে ৫৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল সাতটি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
‘জেড’ ক্যাটাগরির ৯৬টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৪৫টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল ২৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
একই সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড খাতেও বেশির ভাগ ফান্ডের ইউনিটের দরও কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে মাত্র একটি ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে, বিপরীতে ২৫টি ফান্ডের ইউনিট দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ১০টি ফান্ডের ইউনিট দর।
ডিএসইতে গতকাল মোট ২৩ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬১৪টি শেয়ার ও ইউনিট ২ লাখ ১২ হাজার ৮২৭ বার হাতবদল হয়েছে। এরই জের ধরে দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৭০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, গতকালের পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের পতন এবং বেশির ভাগ শেয়ারের দর কমে যাওয়া বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি করেছে। আগামী দিনগুলোয় বাজারের গতিবিধি কেমন থাকে, তা দেখার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বিনিয়োগকারীদের গুজবে কান না দিয়ে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। আগামী কার্যদিবসে বাজারের গতিবিধি কী হয়, তা জানতে অপেক্ষাও করতে বলছেন তারা।