Print Date & Time : 19 July 2025 Saturday 11:16 am

আমিরাতে দুটি টাগবোট রপ্তানি করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন

শেয়ার বিজ ডেস্ক : চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজ নির্মাতা ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড চলতি জুলাই মাসেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটি টাগবোট রপ্তানি করতে যাচ্ছে। আমিরাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মারওয়ান শিপিং লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করা হবে ‘খালিদ’ ও ‘ঘায়া’ নামের এ দুটি জলযান।

গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে এক সংবা সম্মেলনে এ তথ্য জানান ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান।

এ সময় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানসহ আমিরাত দূতাবাস ও বাংলাদেশের সামরিক ও বাণিজ্যিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই দুটি টাগবোটের রপ্তানিমূল্য ১৫ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার, যা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০২৩ সালে ওয়েস্টার্ন মেরিন ও মারওয়ান শিপিংয়ের মধ্যে আটটি জাহাজ নির্মাণের একটি চুক্তি হয়। এর আওতায় দুটি টাগবোট ছাড়াও রয়েছে চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ও দুটি ট্যাংকার। এর মধ্যে ‘রায়ান’ নামের একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইতোমধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি পাঁচটি জাহাজ আগামী বছরের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।

ওয়েস্টার্ন মেরিনের ইতিহাস তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০১৭ সালে মারওয়ান শিপিংয়ের কাছে প্রথম জাহাজ রপ্তানি করে তারা। এখন পর্যন্ত ১১টি দেশে মোট ৩৪টি জাহাজ রপ্তানি করেছে, যার মোট বাজারমূল্য ১৩ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, আমিরাত দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হুমাই মোহাম্মদ আবদুল্লাহ দারউইশ আলতামিমী এবং মারওয়ান শিপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমে আলমারজুকি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে প্রথম জাহাজ রপ্তানির ইতিহাস শুরু হয় ২০০৮ সালে, ঢাকার আন শিপইয়ার্ড অ্যান্ড সিপওয়েজ ডেনমার্কে জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে। এরপর ২০১০ সালে ওয়েস্টার্ন মেরিন জার্মানিতে সমুদ্রগামী জাহাজ রপ্তানি করে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে জাহাজ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যকরভাবে টিকে রয়েছে এ দুটি প্রতিষ্ঠানই।

প্রসঙ্গত, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তবে আর্থিক সংকট ও দীর্ঘদিন লভ্যাংশ না দেয়ায় বর্তমানে কোম্পানিটি জেড শ্রেণিভুক্ত। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৮ টাকা ৯০ পয়সা।