নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে। আগামী ২৬ জুলাই এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল।
ই-ক্যাব কার্যালয় থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং ১১৬০০/২০২৫-এর আদেশে ই-ক্যাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদি দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিত আদেশ প্রদান করায় নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত তফসিলের সার্বিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।
গত ৩ মার্চ এই তফসিল ঘোষণা করেছিল ই-ক্যাবের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর আগামীকাল শনিবার (২৬ জুলাই) ভোটগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
গতকাল নির্বাচন বোর্ড চেয়ারম্যান তরফদার সোহেল রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে নির্বাচনী তফসিলের কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য ড. শাহাদাৎ হোসেন এবং রেজাউল করিমেরও সই রয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ই-ক্যাবের নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একেএম খলিল উল্লাহ (কাসেম) ও অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম। ওই রায়ের কপি গতকাল হাতে পায় ই-ক্যাব কার্যালয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা জারি করে সরকার। ওই বিধিমালায় বাণিজ্য সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সরাসরি নির্বাচনের একটি নির্দেশনা রয়েছে। এবং একই ব্যক্তিকে পরপর দুইবারের বেশি কার্যনির্বাহী পরিষদে থাকলে পরের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার জন্য নিরুসাহিত করা হয়।
পূর্বতন তফসিল অনুযায়ী ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের ১১টি পরিচালক পদের সরাসরি ভোট গত ৩১ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গত ১৪ মে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন বোর্ড। সে সময় ভোটারসংখ্যা কম থাকায় এ নির্বাচন পেছানোর একটি দাবি ছিল। ওই সময় পর্যন্ত ভোটার ছিল ৫০২। ২৬ জুলাইয়ের নির্বাচনের আগে এই ভোটার সংখ্যা বেড়ে ৮৩৫ হয়।
ই-ক্যাবের নির্বাচনে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ‘টিম ইউনাইটেড’ ও ‘টিম টাইগার’ নামের দুটি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২২ প্রার্থী। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।