নিজস্ব প্রতিবেদক : আমরা আশা করছি, শুল্কটা কিছুটা কমে আসবে। আমরা তো চেষ্টা করছি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপষ্টো ড. সালেহ উদ্দিন আহমে। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় কমিটির সভা গতকাল বুধবার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপষ্টো ড. সালেহ উদ্দিন আহমে বলেন, আমরা আশা করছি, শুল্ক কিছুটা কমে আসবে। আমরা তো চেষ্টা করছি। কারণ আমাদের মূল্যস্ফীতি তো কম। ৬ দশমিক ৫ বা ৭ বিলিয়ন ডলার।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেড় লাখ টন সার অমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইউরিয়া ও টিএসপিসহ বিভিন্ন রকম সার রয়েছে। এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছি।
তিনি বলেন, ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আনার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর যুক্তি হচ্ছে, আমরা একটু ডাইভার্সিফাই করতে চাচ্ছি। অনেক সময় রাশিয়ান ব্লক কিংবা ইউক্রেন ব্লকে একটা অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখন আমাদের আমদানি বাড়ানোর নেগোশিয়েশন চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের গমের মান ভালো।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম তুলনামূলক বেশি কিনাÑ জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, দাম একটু বেশি হলেও আমরা অন্যদিকে দিয়ে সুবিধা পাবো। এই (যুক্তরাষ্ট্রের) গমের প্রোটিনও কিছুটা বেশি। প্রোটিন খুব বেশি তা নয়, তবে একটু বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক প্রয়োগের আর মাত্র আটদিন বাকি। এর মধ্যে দর কষাকষির আলোচনার জন্য বাংলাদেশর প্রস্তুতি কী? সাংবাদিকরে এমন প্রশ্নে ড. সালেহউদ্দিন আহমে বলেন, আগামী ১ আগস্টের আগেই বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
অন্য প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করছি, শুল্ক হয়তো কিছুটা কমাবে। কারণ আমাদের ঘাটতি তো খুবই কম। ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে লবিস্ট নিয়োগের দাবি জানানো হচ্ছে, একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সালেহউদ্দিন আহমে বলেন, এক্ষেত্রে লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গ নেই। কারণ লম্বা সময় নিয়ে কোনো নেগোশিয়েশনের ক্ষেত্রে এ ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। এখানে যা করতে হবে কুইক করতে হবে। ওরা তো ঢুকতেই পারবে না, ওই অফিসের কাছাকাছি। নেগোশিয়েশন তো দূরের কথা।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমারে ভালো ইমেজ আছে। সম্প্রতি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি, মেটলাইফের কতগুলো বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ইউএস চেম্বার আমাকে চিঠি লিখেছে।

Discussion about this post