প্রতিনিধি, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ঘিরে নতুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, সাজিদ আবদুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে ১৬ জুলাই (বুধবার) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায়।
এদিকে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে তথ্যটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই একে হত্যা বলে অভিহিত করে বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিশ্বব্যিালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে য়ো হয়। এতে বিশ্বব্যিালয়ের বিকেল ৪টার শিডিউলের বাস আটকে যায়।
সাজিরে বন্ধুরা বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টার সময় সাজি নিশ্চয়ই গোসল করতে পুকুরে যায়নি। অবশ্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। সাজিদ ক্যাম্পাসের বাইরেও ছিল না। তাকে যখন হত্যা করা হয় তখন হলের নিরাপত্তা গার্ড কোথায় ছিল। প্রক্টর স্যার নিরাপত্তার দায়িত্বে, তিনি কোথায় ছিলেন তার উত্তর আমরা জানতে চাই। সাজি হত্যার ঘটনায় প্রশাসনকে বাদী হয়ে ানায় মামলা দায়ের করতে হবে। প্রশাসন যে শির্ক্ষাীরে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তা স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।’
রেজাউল রাকিব বলেন, ‘সাজিদকে যখন হত্যা করা হয়, তখন প্রক্টরিয়াল বডির কেউ ছিল না। সাজদের লাশ যখন উদ্ধার করা হয় তখন থানার ওসি এসেছে, কিন্তু তার সঙ্গে পুলিশ নেই, প্রশাসনের
কেউ নেই। প্রক্টরিয়াল বডির একজন স্যার আমাদের বলেন, তোমরা বেশি আবেগি হয়ো না। এ রকম প্রক্টরিয়াল বডিকে আমরা আর ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না।’

Discussion about this post