শেয়ার বিজ ডেস্ক : গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, দখলদার ইসরায়েলের নৃশংসতার জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বাংলাদেশে সফররত ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. মাহমুদ সিদকি আল-হাব্বাশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার এ বিষয়ে জানানো হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন জানান।
ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. আল-হাব্বাশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের স্থায়ী সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
ফিলিস্তিনিদের নিরন্তর সমর্থনের জন্য দেশটির প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের ওপরও জোর দেন।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে ড. আল-হাব্বাশ তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন। এর জবাবে চালানো ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন নিহত হয়েছেন বলে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলের মানুষদের বাড়িতে ফেরার অনুমতি না দিয়ে এবং অনাহারকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ইসরায়েল গণবাস্তুচ্যুতি চাপিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গণমাধ্যম অফিস বলেছে, কয়েক লাখ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হয়েছে, যার ফলে ২৪ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি শিশু চরম দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে পড়েছে। তারা ইসরায়েল এবং এর মিত্রদের, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রকে এই ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী করে আরব ও ইসলামি দেশগুলো, বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়, অবরোধ প্রত্যাহার করে, বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে ফিরিয়ে আনে এবং আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলি নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করে।