নিজস্ব প্রতিবেদক : এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) তাদের জবাবদিহিমূলক নীতিমালার সর্বশেষ খসড়া সংস্করণে আন্তর্জাতিক মান রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে একাধিক অধিকারভিত্তিক সংগঠন। সম্প্রতি ব্যাংকের ‘প্রকল্প-প্রভাবিত জনগণের জন্য প্রক্রিয়া (পিপিএম)’ বিষয়ক নীতিমালার পর্যালোচনা শেষে প্রকাশিত খসড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের প্রবেশাধিকার, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতার ঘাটতির কথা উঠে এসেছে।
এআইআইবি’র ২০২৫ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত খসড়া নীতিমালায় বাহ্যিক পর্যালোচকের আটটি সুপারিশের মধ্যে পাঁচটি উপেক্ষা করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলো বলছে, গত ছয় বছরে একটি অভিযোগও আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত না হওয়ায় প্রমাণ হয় পিপিএম কাঠামো বাস্তবধর্মী নয়।
নতুন খসড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে সরাসরি অভিযোগ জানাতে দেয়া হয়নি, বরং তাদের প্রথমে প্রকল্প পর্যায়ের অভিযোগ ব্যবস্থায় যেতে বলা হয়েছে, যা আগে অনেক অভিযোগ বাতিল হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল। যৌথ অর্থায়ন বা পুঁজিবাজারভিত্তিক প্রকল্পগুলো পিপিএমের আওতার বাইরে রেখে উচ্চ ঝুঁকির প্রকল্পগুলোয়ও কার্যকর তদারকির পথ রুদ্ধ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক দেশের মতো প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকায় এআইআইবির উচিত ছিল নিজ উদ্যোগে তদন্ত চালুর সুযোগ রাখা এবং প্রতিশোধমূলক আচরণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যদিও কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই নীতিমালাটি চূড়ান্ত হলে আগামী কয়েক বছর ধরে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়বিচার পাওয়া কঠিন হবে। এ অবস্থায় অংশীদার শেগুলোর সংসগুলোর হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।