শেয়ার বিজ ডেস্ক : আজকাল সুস্থ থাকার জন্য বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মানুষ নানা রকম পন্থা নিচ্ছেন। কেউ কঠোর ডায়েট অনুসরণ করছেন, কেউ ডিটক্স পানীয় খাচ্ছেন, আবার কেউ নিয়ম করে শরীরচর্চা করছেন। আবার অনেকেই সকালে উঠে বা শরীরচর্চার আগে দুধ-চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খান। এই কফিতে যদি এক চামচ ঘি মেশানো হয়, তবে তা শুধু ওজন কমাতেই নয়, বরং আরও নানা শারীরিক উপকারে আসে। ঘি ও কফি—এই দুই উপাদানের মিলিত প্রভাব শরীরকে রাখে ফিট, রোগমুক্ত ও সতেজ।
কেন খাবেন ঘি কফি?
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ঘি কফিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এতে ইমিউন সিস্টেমও মজবুত হয়।
২। ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে
ঘি কফির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পেট ভরিয়ে রাখে অনেকক্ষণ। ফলে অকারণে খাওয়ার প্রবণতা কমে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩। ব্যায়ামের আগে এনার্জি বুস্টার
অনেকেই শরীরচর্চার আগে ঘি কফি পান করেন। এটি শরীরকে শক্তি জোগায় এবং বেশি ঘাম ঝরাতে সাহায্য করে।
৪। রক্তে শর্করার ভারসাম্য রাখে
সকালে ঘি কফি খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।
৫। হজমে সাহায্য করে
ঘি হজম শক্তি বাড়ায়, গ্যাস-অম্বল বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। নিয়মিত ঘি কফি খেলে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬। জয়েন্ট ব্যথায় আরাম
হাঁটু বা কোমরের ব্যথা থাকলে দেশি ঘি দিয়ে বানানো কফি উপশমে কাজে দেয়।
৭। হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল
ঘি কফিতে থাকা ওমেগা-৩, ৬ ও ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৮। বয়সের ছাপ কমায়
এই পানীয় নিয়মিত খেলে ত্বকে বলিরেখা, দাগছোপ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কমে। অকাল বার্ধক্যের ছাপও ধীরে আসে।
কিভাবে খাবেন ঘি কফি?
প্রথম দিকে অল্প পরিমাণ ঘি দিয়ে শুরু করুন। উচ্চমানের দেশি ঘি ব্যবহার করুন সবচেয়ে ভালো ফল পেতে। চাইলে স্বাদ বাড়াতে মেশাতে পারেন দারচিনি, এলাচের গুঁড়া বা সামান্য মধু। ঘি সবসময় ঠাণ্ডা ও শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন।
ঘি কফি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের একটি চমৎকার উপায়। তবে যারা নতুন করে এটি শুরু করতে চাইছেন, তাদের আগে একবার পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
আরআর/

Discussion about this post