কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মীদ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
প্রকারভেদ মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রƒপ করা।
শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।
সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিকমাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।
কেন করা হয়: কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা। সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা। কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।
কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব: ডিপ্রেশন বা হতাশা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা। ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া। আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া। আত্মহত্যার প্রবণতা
শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব: কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া। ওজন বেড়ে যাওয়া। হƒদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।
প্রতিরোধের উপায়: ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
ডা. নাজমুল হক মুন্না
সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)

Discussion about this post