ডেস্ক রিপোর্ট : যার মানবিক ব্যবহারের মধ্যে সত্যিকারের ভালোবাসা ও সততায় মুগ্ধ হতে হয়। তিনি উদার মানবদরদি ডা. কবীর সরদার। একজন চিকিৎসক মানুষকে সেবা করার যত বেশি সুযোগ পান, অন্য পেশাজীবীরা তা পান না। তাই চিকিৎসককে আগে ভালো মানুষ হতে হয়, তাহলেই তিনি হতে পারেন মানবিক একজন চিকিৎসক।
চিকিৎসকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে রোগীকে সম্মান করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করা, বন্ধুসুলভ আচরণ করা। একজন চিকিৎসককে স্বভাবতই সৎ, নিঃস্বার্থ, অঙ্গীকারবদ্ধ, দেশপ্রেমিক, দায়িত্বশীল ও দয়ালু হতে হয়। রোগীকে মানবিক মন নিয়ে সেবা করে তার দুঃখ-বেদনা অনুভব করতে পারেন। এমনই একজন সদালাপী, মানবিক চিকিৎসক কবীর সরদার। তার আন্তরিকতা আর আলাপনেই রোগী অনেকটা নির্ভরতা খুঁজে পান। সুস্থ হয়ে ওঠার মনোবল ফিরে পান। তিনি রোগীকে আপন করে নিতে পারেন। শুধু রোগী নয়, মানুষকে আপন করে নেয়ার এক অমোঘ শক্তি রয়েছে তার, যা সবাইকে মুগ্ধ করে।
কবীর সরদার একজন সক্রিয় চিন্তার মানুষ। এই সক্রিয় চিন্তার মানুষ তার আবেগকে রাখেন বুদ্ধির শাসনে, ইতিহাস ও সময়কে দেখেন বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিতে, সংকটে-সন্তাপে থাকেন স্থিরচিত্ত। এই মানুষের কাছে মানবিকতা আর সামাজিক অংশগ্রহণ গুরুত্ব পায়। সক্রিয় চিন্তার মানুষ অতীতকে আবিষ্কার করেন বইয়ের মধ্য দিয়ে, গবেষণার মধ্য দিয়ে; প্রকৃতিকে কল্পনা করেন মানসগঠনের পেছনে বড় একটি প্রভাব হিসেবে এবং সংস্কৃতির শক্তিতে পেতে চান তার সব শুদ্ধতা নিয়ে। এসবই আমরা তার ভেতর দেখতে পাই।
ডা. কবীর সরদার ১৯৮৪ সালের ১৪ জুন ফরিদপুরে জš§গ্রহণ করেন। তার বাবা আবদুল আজিজ সরদার, মা মাজেদা বেগম। শৈশব থেকেই তিনি প্রখর মেধাবী ও মানবপ্রেমী। মানবসেবা করার উদ্দেশ্যেই চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করেছেন। ২০০৮ সালে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বারডেম থেকে সিসিডি কোর্স অর্জন করে পেশাগত জীবনে দক্ষতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।
ডা. কবীর সরদার মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার। একজন ভালো মানের ও ভালো মনের চিকিৎসক। ডায়াবেটিস রোগের এক অনত্যম চিকিৎসক। তিনি মেডিসিন, বক্ষব্যাধি, ডায়াবেটিস, বাত ব্যথা, অ্যাজমা ও অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তার কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করা একাধিক রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি সময় ধরে রোগের বর্ণনা শোনেন এবং রোগীর সঙ্গে সুন্দর আচরণ করেন। সদা হাস্যোজ্জ্বল এ চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছেন। ভালো ডাক্তারের কাতারে স্থান পেয়েছেন। মানবিক এ চিকিৎসক অনেক গরিব অসহায় রোগীদের ফি ছাড়াই চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অতিরিক্ত পরীক্ষা দেন না ডাক্তারের কাছে নির্ভয়ে সব বলা যায়। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনো টেস্ট দেন না।
ডা. কবীর সরদারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসা স্বপ্না আক্তার বলেন, মাজার ব্যথায় অনেক কষ্ট পাচ্ছিলামÑএখানে চিকিৎসা নিয়ে ভালো আছি। রোকেয়া বেগম নামে আরেক রোগী বলেন, ডায়াবেটিসের রোগী আমি, কোনোভাবেই কমে না ডায়াবেটিস এখানে চিকিৎসা নিয়ে ভালো আছি।
একজন গরিব অসহায় রোগী লিপি রানী বলেন, আমার অনেক সমস্যা ছিল চিকিৎসা নিয়ে ভালো আছি আবার দেখা করতে এসেছি, আমরা গরিব শুনে তিনি পরামর্শ ফি নেননি, তার কথা আচার ব্যবহার খুব ভালো। তিনি আসলে ডাক্তার নন। ভগবান মনে হয় তাকে দেবতা হিসেবে পাঠিয়েছেন মানুষের সেবা করতে।
এক সন্তানের জনক ডা. কবীর সরদার প্রচারবিমুখ মানুষ, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে অন্তরালে থাকতেই ভালোবাসেন।

Discussion about this post