মুক্তা বেগম, গাজীপুর : গাজীপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এম মনজুরুল করিম রনির পক্ষে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছেন দলের সাতজন মনোনয়নপ্রত্যাশী।
গতকাল বুধবার গাজীপুরের টঙ্গী কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী প্রাক-প্রস্তুতি সভায় তারা দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, তার পক্ষেই সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবেন।
এ সময় যারা প্রকাশ্যে এম মনজুরুল করিম রনির পক্ষে সমর্থন ঘোষণা করেন, তারা হলেন— বিএনপি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি আরিফ হাওলাদার, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হান্নান মিয়া হান্নু, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ সুমন, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বশির উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রাজু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন শাহীন এবং টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন।
বক্তারা বলেন, আমরা সবাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীরা মামলা, হামলা, জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবুও দলকে সুসংগঠিত রাখতে আমরা কখনো পিছু হটিনি।
সভায় প্রয়াত অধ্যাপক এম এ মান্নানের অবদানের কথাও স্মরণ করা হয়। বক্তারা বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত মেয়র হওয়া সত্ত্বেও তাকে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি। মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে তাকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল, যা গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন— একটি অদৃশ্য অপশক্তি নির্বাচনকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এসব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ধানের শীষের প্রার্থী এম মনজুরুল করিম রনিকে বিজয়ী করতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতেও তারা প্রস্তুত।
টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান নূর এবং টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ডা. শহীদুজ্জামান, সহসভাপতি আহমদ আলী রুশদী, সদর মেট্রো থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মাহাবুবুল আলম শুক্কুর, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সদর মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হাসান আজমল ভূঁইয়া, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম কিরণ, সদর মেট্রো থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুটুল, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম এবং টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিউদ্দিন। এছাড়া মহানগর ও থানা পর্যায়ের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— সাবেক মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম, গাছা থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান রাজু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রোহানুজ্জামান শুক্কুর ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রিমন, মহানগর মত্স্যজীবী দলের নেতা আবুল কাশেম, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার, সদর মেট্রো থানা যুবদলের আহ্বায়ক নাজমুল খন্দকার সুমন, যুবদল নেতা ফরহাজ বিন প্রবাল, আসলাম মিয়াসহ অনেকে।
সভায় টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা, গাছা থানা, সদর মেট্রো থানা ও পুবাইল থানাসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট করুন








Discussion about this post