নিজস্ব প্রতিবেদক : এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার মরদেহ দাফনের পাঁচ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বেলা ১০টায় নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে লাশ উত্তোলনের জন্য আবেদন করলে আদালত এ নির্দেশ নে। পরে বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি ও রন্টি পোদ্দারের উপস্থিতিতে জেলা শহরের পৌর কবরস্থান থেকে নিহত ইমন তালুকদার ও রমজান কাজীর মরহে উত্তোলন করা হয়। এদিকে টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মারুফ দস্তেগীরের উপস্থিতিতে নিহত সোহেল রানার মরদেহ দক্ষিণ টুঙ্গিপাড়া কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। এ সময় নিহতের পরিবারের সদস্যসহ সদর ও টুঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আজ আদালতে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার লাশ কবর েেক উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।’
এরই ধারাবাহিকতায় বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে জেলা শহরের পৌর কবরস্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি ও রন্টি পোদ্দারের উপস্থিতিতে নিহত রমজান কাজী ও ইমন তালুকদারের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
অন্যদিকে টুঙ্গিপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মারুফ দস্তেগীরের উপস্থিতিতে নিহত সোহেল রানার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার শেষে সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার রাতে ইমন তালুকদার, রমজান কাজী, সোহেল রানা ও দীপ্ত সাহা নিহতের ঘটনায় সদর থানার চার উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় চারটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া রমজান মুন্সি নিহতের ঘটনায় পরবর্তী সময়ে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তিনটি মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জনকে এবং একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে।