শেয়ার বিজ ডেস্ক : প্রায় ৩৯ বছর পর মাশুল বাড়াল চট্টগ্রাম বন্দর। এখন থেকে বন্দর সেবায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল গুনতে হবে ব্যবহারকারীদের। নতুন মাশুল নির্ধারণ করে প্রকাশ করা গেজেট থেকে এ তথ্য জানা যায়। গতকাল সোমবার থেকেই এ নতুন মাশুল কার্যকর হবে।
সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবা খাতে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছিল। প্রায় ৪০ বছর পর অন্তর্বর্তী সরকার বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক গত সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, নতুন আরোপিত ট্যারিফ কার্যকর হয়েছে। এর আগে গত রোববার দিবাগত রাতে নতুন ট্যারিফের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ৫২টি খাতে ট্যারিফ আদায় করা হয়। সেখান থেকে ২৩টি খাতে সরাসরি বর্ধিত হারে ট্যারিফ আদায় অনুমোদন হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই বন্দরের প্রস্তাবিত ট্যারিফ অনুমোদন করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। সে সময় একসঙ্গে গড়ে ৪১ শতাংশ হারে ট্যারিফ বাড়ানোর বিষয়ে আপত্তি জানায় বন্দর ব্যবহারকারীরা। এরপরই বিষয়টি নিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে একদফা আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু ব্যবহারকারীদের আপত্তি আমলে না নিয়েই প্রজ্ঞাপন জারি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে মাশুল বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত বন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়েছিল, সেটিই বহাল থাকল।
দেশে আমদানি-রপ্তানিকেন্দ্রিক সমুদ্র বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ এবং কনটেইনার ও পণ্য পরিবহনের ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সবচেয়ে বেশি ট্যারিফ বেড়েছে কনটেইনার পরিবহন খাতে। প্রতিটি ২০ ফুট লম্বা কনটেইনারে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা থেকে ৪ হাজার ৩৯৫ টাকা বেড়ে নতুন ট্যারিফ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা। এ হিসাবে প্রতি কনটেইনারে ট্যারিফ বেড়েছে গড়ে ৩৭ শতাংশ।
আবার কনটেইনারবাহী জাহাজের ক্ষেত্রে আমদানি কনটেইনারের জন্য ৫ হাজার ৭২০ টাকা ও রপ্তানি কনটেইনারের জন্য ৩ হাজার ৪৫ টাকা ট্যারিফ বেড়েছে। প্রতিটি কনটেইনার ওঠানামার ক্ষেত্রে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে প্রায় তিন হাজার টাকা। কনটেইনারের প্রতি কেজি পণ্যের জন্য ট্যারিফ আগের ১ টাকা ২৮ পয়সার সঙ্গে আরও ৪৭ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।