শেয়ার বিজ ডেস্ক : চীনের প্রযুক্তি খাতে নিরাপত্তাজনিত হুমকি রয়েছে বলে মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখনই চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিষিদ্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তিনি। গতকাল শুক্রবার তিনি জানিয়েছেন, ‘দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে’ হয়তো তিনি এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অথচ একই অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েকটি কোম্পানির বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বিধিনিষেধ জারি করেছেন ট্রাম্প প্রশাসন। খবর-রয়টার্স ।
ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি চীন তার সাইবার জালিয়াতি ও বাণিজ্য গুপ্তচরবৃত্তি বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তাদের প্রযুক্তি খাতের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। বর্তমানে মার্কিন প্রযুক্তি বাজারে বড় অংশীদার চীনের হুয়াওয়ে ও টেনসেন্ট।
গত সপ্তাহেই ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। তার অভিযোগ, ওই দেশগুলোর কিছু প্রতিষ্ঠান মার্কিন বাণিজ্যিক গোপন তথ্য চীনের সঙ্গে ভাগাভাগি করছে। অথচ চীন সরাসরি এসব অভিযুক্ত থাকলেও দেশটির বিরুদ্ধে এখনও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
ফক্স বিজনেসের উপস্থাপক লরা ইনগ্রাহাম ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, সম্প্রতি জেনেভায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি কি বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছেন না?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আসলে, এখন যা ঘটছে তাতে আমার মনে হচ্ছে, তড়িঘড়ি করে কিছু করার প্রয়োজন নেই। হয়তো দুই বা তিন সপ্তাহ পর বিষয়টি নতুন করে ভাবতে হতে পারে। তবে বৈঠকটা যথেষ্ট ফলপ্রসূ ছিল।’
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি ট্রাম্প চীনা প্রযুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, তাহলে চীনের প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি বড় ধরনের চাপে পড়বে।
এরই মধ্যে ট্রাম্প ও শির মধ্যে একটি সম্ভাব্য প্রযুক্তি-বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে ট্রাম্প যদি নিষেধাজ্ঞা কৌশল আরও তীব্র করেন, তাহলে চীন হতে পারে তার পরবর্তী প্রধান টার্গেট।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের ঘোষণার পর দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র সম্প্র্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু প্রযুক্তি পণ্যকে টার্গেট করেছে। আমরা এই বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ জানিয়ে দিয়েছি। দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হয়। আমরা আমাদের প্রযুক্তিগত স্বার্থ ও বাজার অংশীদারিত্ব বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি।’
দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে ‘একতরফা ও দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছে।

Discussion about this post