এম এস জিলানী আখনজী, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : ‘পড়ুন আপনার প্রতিপালকের নামে, যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন-বিদ্যা অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরজ’ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ২০১৭ সালে কালিশীরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পবিত্র আল-কোরআনের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছিল। আল-কোরআনের আদলে তৈরি বিশাল ভাস্কর্য রয়েছে বিদেশসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। আর সেই ভাস্কর্যকে অনুসরণ করেই ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কালিশীরি স্কুলে তৈরি করা হয় আল-কোরআনের ভাস্কর্য।
কোরআনকে ভালোবাসেন এমন অনেকেই ছুটে চলে আসেন স্কুল প্রাঙ্গণে আল-কোরআনের ভাস্কর্যটি দেখার জন্য। ভাস্কর্যটি দেখতে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় সময়ই ভিড় করে অত্র স্কুলের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, ইউনিয়নের বাসিন্দা ও গ্রামবাসীসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা ‘আল-কোরআন’ প্রেমীরা। এটি যেন কোরআন প্রেমীদের হƒদয়ের তাজমহল, এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকে।
এ ধরনের ভাস্কর্য নির্মাণ করায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে সময়ে উপজেলার সর্বশ্রেণি পেশার মানুষেরা প্রশংসা করেছেন। দেশের আলেম সমাজ এবং সমাজপ্রতিরাও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। প্রথমে স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের থেকে অল্প অর্থ দিয়েই কোরআনের ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করেন। পরে তৎকালীন সময়ের ইউপি চেয়ারম্যানও সাহায্যে এগিয়ে আসেন।
নান্দনিক এ আল-কোরআনের ভাস্কর্যটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন তৎকালীন স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান আলহাজ আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু, স্কুলের প্রধানশিক্ষক মতিউর রহমান ও কালিশীরি স্কুলের এসএমসির সাবেক সভাপতি।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, মুসলমান হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ববোধ রয়েছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আল-কোরআনের ভাস্কর্য করা হয়েছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ঈমানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মূর্তি নির্মাণ ছাড়াও যে সুন্দর শিল্প সৃষ্টি সম্ভব, আল-কোরআনের এ ভাস্কর্যটি বাস্তব উদাহরণ। এই ভাস্কর্যটি মানুষের মনে ইসলামী মুল্যবোধ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি অপরাধমুক্ত সমাজ গঠন এবং সুন্দর পরিবেশ নির্মাণে মুসলমানদের কাছে এ শিল্পকর্ম অনুকরণীয় ও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

Discussion about this post