Print Date & Time : 14 September 2025 Sunday 8:52 am

ছোট অঙ্কের আমদানিতেও শুল্ক বসাল ট্রাম্প প্রশাসন

শেয়ার বিজ ডেস্ক : ৮০০ ডলারের নিচে পার্সেল আমদানির ছাড় শেষ, ব্যবসা ও সাপ্লাই চেইনে ধাক্কা  যুক্তরাষ্ট্রে ৮০০ ডলারের নিচে মূল্যমানের পার্সেল পাঠানোর শুল্কমুক্ত সুবিধা শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। এর ফলে বৈশ্বিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে  পণ্য পাঠানো ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা নতুন চাপে পড়েছে। খবর- দ্যা গার্ডিয়ান।

মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) জানিয়েছে, এখন থেকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক পার্সেলের ওপরই পূর্ণ শুল্ক প্রযোজ্য হবে। ছয় মাসের একটি ট্রানজিশন পিরিয়ডে ডাক বিভাগ চাইলে নির্দিষ্ট হারে ফ্ল্যাট ট্যাক্স (৮০-২০০) ডলার  দিতে পারবে, যা দেশের শুল্কহার অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি স্থায়ী পরিবর্তন এবং শুল্কমুক্ত সুবিধা ফিরিয়ে আনার কোনো উদ্যোগ ‘ডেড অন অ্যারাইভাল’ হবে।

হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেন, ‘ডি মিনিমিস ফাঁকফোকর বন্ধ হওয়ায় বিপুল পরিমাণ বিপজ্জনক মাদকদ্রব্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা রোধ হবে এবং প্রতিবছর ১০ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত রাজস্ব আসবে।

ডি মিনিমিস এক্সেমশন চালু হয়েছিল ১৯৩৮ সালে এবং ২০১৫ সালে এটি ২০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০০ ডলারে উন্নীত করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ছোট ব্যবসা ও ই-কমার্সের বিকাশ ত্বরান্বিত করা। কিন্তু চীন থেকে সরাসরি বিপুল পরিমাণ পার্সেল প্রবাহের কারণে এই নীতির অপব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে ট্রাম্প প্রশাসন

সিবিপি-এর হিসেবে, ২০১৫ অর্থবছরে যেখানে মাত্র ১৩৯ মিলিয়ন পার্সেল ছাড় সুবিধা নিয়েছিল, ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়নে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যেসব দেশের শুল্কহার ১৬ শতাংশ-এর নিচে: ৮০ ডলার প্রতি পার্সেল

ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামসহ ১৬ শতাংশ-২৫ শতাংশ  শুল্কহার দেশ: ১৬০ ডলার প্রতি পার্সেল চীন, ব্রাজিল, ভারত, কানাডাসহ ২৫ শতাংশ-এর ওপরে শুল্কহার দেশ: ২০০ ডলার  প্রতি পার্সেল। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ডাক বিভাগগুলোকে অবশ্যই পণ্যের প্রকৃত মূল্যের ভিত্তিতে শুল্ক সংগ্রহ করতে হবে। ই-কমার্স জায়ান্ট সিন ও তেমু-এর মতো প্রতিষ্ঠান, যারা কমদামে সরাসরি মার্কিন ভোক্তাদের কাছে পণ্য পাঠাত, তাদের ব্যবসায়িক মডেল বড় ধরনের ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও রাজস্বের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক হবে।