Print Date & Time : 22 September 2025 Monday 3:30 pm

জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে : অর্থ উপদেষ্টা               

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীরা জানুয়ারির শুরুতেই নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি গতকাল রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বছর পাঠ্যবই ছাপার কার্যাদেশ দেয়া হয়েছিল নভেম্বর মাসে। এতে করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছাতে তিন মাস দেরি হয়েছিল। এবার জানুয়ারির প্রথম দিন থেকেই বই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা এমন পরিকল্পনা নিয়ে সেপ্টেম্বর মাসেই কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, যেসব প্রতিষ্ঠান গতবার অনিয়মে জড়িত ছিল তাদের বই ছাপানোর কাজ দেয়া হবে না। তালিকা পর্যালোচনা চলছে। গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আছে, তাদের বাদ দেয়া হবে। এ মাসের মধ্যেই নাম চূড়ান্ত করা হবে।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, আগামী বছর বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রাথমিক স্তরের প্রায় ৮ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ২১ কোটি ৪০ লাখ বই প্রয়োজন হবে। এবার মোট বইয়ের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও প্রক্রিয়াটি জটিল হয়ে উঠেছে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই ছাপানোর দরপত্র বাতিল হওয়ায়।

ষষ্ঠ শ্রেণির প্রয়োজন ৪ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৯০৬, সপ্তম শ্রেণির ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ এবং অষ্টম শ্রেণির ৪ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮ বই। এসব মিলিয়ে ২৮০টি লটের মধ্যে ১১ কোটির বেশি বইয়ের দরপত্র বাতিল হয়েছে। কেন বাতিল করা হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ।

সূত্রে জানা যায়, নভেম্বরে-ডিসেম্বরে মুদ্রণকারীরা নোট গাইড ছাপাতে ব্যস্ত থাকে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পোস্টার ছাপানোর চাপও থাকবে। ফলে জানুয়ারির শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দেয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

তবে এনসিটিবি বলছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই বই ছাপানোর কাজ শেষ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য নতুন কার্যাদেশে মুদ্রণকারীদের সময়সীমা কমিয়ে আনা হবে এবং চুক্তি করার সময়ই সে শর্ত বেঁধে দেয়া হবে।