নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ থেকে জাপানে এক লাখ জনবল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাপানি ভাষার জ্ঞান এবং যে কোনো একটি দক্ষতা থাকলেই দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের গতকাল মঙ্গলবার এসব কথা জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি বড় কর্মবাজার হিসেবে উš§ুক্ত হচ্ছে। নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি খাতসহ বিভিন্ন খাতে এক লাখ কর্মী পাঠানোর চেষ্টা করছি। এ উদ্যোগের ফলে বৈদেশিক আয় বাড়বে এবং দক্ষ জনশক্তির জন্য জাপানে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে ২২টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। তবে এসব একীভূতকরণের ফলে আমানতকারীদের কোনো ক্ষতি হবে না। গ্রাহকরা যে ব্যাংকেই টাকা জমা রাখুন না কেন, তাদের আমানতের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন থাকবে।
তিনি বলেন, কোনো ব্যাংক একীভূত হলেও আমানতকারীদের নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তাদের অর্থ নিরাপদ থাকবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার ৩০০ গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।
নির্বাচনী কাজে গাড়ির চাহিদা পূরণ করতে চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ হওয়া গত সরকারের সংসদ সদস্যদের আমদানি করা ৩০ থেকে ৪০টি দামি গাড়িও ব্যবহার করা হবে।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য মাঠ প্রশাসনকে পর্যাপ্ত যানবাহন সরবরাহ করা জরুরি। এ জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যেটা করেছিলÑঅনেক গাড়ি নষ্ট-টষ্ট হয়েছে, সেটা যাতে নতুন করে কেনা হয়। সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, জনপ্রশাসন থেকে প্রস্তাব এসেছিলÑফিল্ড লেভেলে নির্বাচনের জন্য বেশ কতগুলো গাড়ির দরকার। নির্বাচনের সময় ভাঙা গাড়ি নিয়ে দুই মাইল যাওয়ার পর গাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে; সেটা তো আমরা অ্যালাউ করব না। সেই প্রস্তাবটি আমরা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, এই তিনশত গাড়ির মধ্যে ইউটিলিটি কার এবং মাইক্রোবাস থাকবে। গাড়িগুলো ইউএনও, এসিল্যান্ড পাবেন, কিছু ডিসিও পাবেন। মোটামুটি আমরা সাশ্রয়ীভাবেই করছি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কিন্তু এমপিদের (সাবেক) অনেক গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। বেশ দামি গাড়ি, এক-একটা চার থেকে ছয় কোটি টাকা। নিলাম করতে গেছে এনবিআর, এক-একটার দাম উঠেছে ১০ লাখ টাকা। আপনারা তো খুব বুদ্ধিমান লোক, ইচ্ছা করে পাঁচ কোটি টাকার গাড়ি ১০ লাখ টাকা বলছে।
তিনি বলেন, আমি এনবিআরকে বলেছি, এগুলো বিক্রি করার কোনো দরকার নেই। এগুলো আমরা পরিবহন পুলে দিয়ে দেব। এ রকম মোট ৩০ থেকে ৪০টি গাড়ি আছে। খুবই ভালো গাড়ি।

Discussion about this post