প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল : ‘জুলাই শহিদ দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সেমিনার হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, জুলাই আন্দোলনের চেতনায় বাংলাদেশ গড়তে হবে, আজকের এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি গর্বিত। ২০২৫ সালের জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় অধ্যায়।
আমরা আজ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি সেই সব শহীদকে, যারা এক অন্যায়-অবিচার আর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গিয়ে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের জাতীয় বিবেককে নাড়া দেয়, আমাদের দায়িত্বশীলতা স্মরণ করিয়ে দেয়।
আজকের এই আলোচনা সভা যেন শুধু অতীত স্মরণের একটি আনুষ্ঠানিকতা না হয়, বরং তা হোক একটি আত্ম-সমালোচনার উপলক্ষ, যেখানে আমরা ভাবব, আমারে অবস্থান কোথায়? আমরা কি সত্যিই শহীদের আদর্শকে বুকে ধারণ করছি? আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হিসেবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, একটি মুক্ত ও চিন্তাশীল শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে, যেখানে মুক্ত মতপ্রকাশ ও মানবিক মূল্যবোধ চর্চার সুযোগ থাকবে।
শহিদের মা মোর্শো বেগম বলেন, আমার সন্তান যে উদ্দেশ্যে প্রাণ দিয়েছে, সে উদ্দেশ্য যেন বাস্তবায়ন হয়, সরকারের কাছে আমি সেই দাবি জানাচ্ছি।
আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জুলাই শহিদ মারুফের মা মোর্শেদা বেগম।
স্বাগত বক্তব্য নে বিশ্বব্যিালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ও জুলাই অভ্যুত্থান উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. দেলোয়ার জাহান মলয়। সভাপতিত্ব করেন শিক্ষার্থীকল্যাণ ও পরামর্শান কেন্দ্রে পরিচালক ও উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষরে ডিন অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম মহিউদ্দিন, বিশ্বব্যিালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. ইমাম হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Discussion about this post