মীর আনিস : ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ঢাকা ওয়াসার মডস্ জোন ৪ এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্ম বদরুল আলম জুলাই হত্যা মামলার আসামী হয়েও অদৃশ্য শক্তির বলে বহাল তবিয়তে।
১৯ জুলাই সৈরাচার হাসিনা বিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনে বাড্ডায় পারভেজ ব্যাপারী নিহত হয়। পারভেজ ব্যাপারীর বাবা সবুজ শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হলেন মডস জোন ৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বর্তমানে উপব্যবস্থাপক {আরপিএন্ডডি} এর দপ্তরে সংযুক্ত মোহাম্ম বদরুল আলম। গুলশান থানার সিআর মামলা নম্বর ৩১৬/২৫ (আমলী আদালত)। মামলার ১নং আসামি সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা,সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কারে ,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল , আওয়ামীলীগ নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম সহ উক্ত মামলার ১৮১ নম্বর আসামী হলেন মোহাম্ম বদরুল আলম।
ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের স্টাফ অফিসার বদরুল আলম ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ওয়াসাতে রাম-রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তার ভয়ে তটস্থ থাকতো ওয়াসায় কর্মরত কর্মকতা কর্মচারী। ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অবৈধ কাজের প্রধান সহযোগী হিসাবে বদরুল আলমের নাম জড়িয়ে আছে ওতপ্রোত ভাবে। তাকসিম এ খানের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে করেছেন অনেক দূর্নীতি কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। নামে বেনামে কিনেছেন জমি ফ্লাট গাড়ি বাড়ি। বাড্ডার হোসেন মর্কেটে আছে ৪ টি দোকান। নিজের এলাকায় বেনামে কিনেছেন শতশত বিঘা কৃষি জমি।
বদরুল আলম আওয়ামীলীগ নেতা, ফ্যাসিবারে দোসর ও অর্থ যোগানদাতা। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে ফ্যাসিস্ট সরকার এর পতনের পরেও ওয়াসার মডস্ জোন ৪ এ বহাল তবিয়তে ছিলেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সে ফ্যাসিস্ট আমলে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের যাদের বিরুদ্ধে নানা রকম দূর্নীতির অভিযোগ ছিল তাদেরকে নিরাপে সরিয়ে দিয়েছেন অন্য জায়গায়। গত ৫ মে ঢাকা ওয়াসা তাকে ওএসডি করে উপব্যবস্থাপক {আরপিএন্ডডি} এর দপ্তরে সংযুক্ত করেছে।
এখানে এসেও থামেনি বদরুল আলমের চক্রান্ত, অবৈধ আয়ের টাকা তিনি বিনিয়োগ করতেছেন বর্তমান সরকার বিরোধী নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের পক্ষে। অভিযোগ আছে ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমানোর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন বদরুল আলম। ধারণা করা হয় অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ তিনি আন্দোলন দমাতে ব্যায় করেছেন।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী একাধিক কির্মকর্তা এবং কর্মচারীর সাথে কথা বলে একই তথ্য পাওয়া যায়। তাঁরা হতাশা প্রকাশ করে জানান,” এভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর এবং খুনের মামলার আসামি এখনো বহাল থাকা লজ্জাজনক।
এ দুর্নীতির ব্যাপারে বদরুল আলমের এর সাথে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগকে বোগাস বলে অভিহিত করেন। তিনি জানান তার নামে হত্যা মামলা হয়েছে তিনি জানেন না। তার বিরোধী পক্ষ তাঁকে ফাসিয়ে দিয়েছে।
আরআর/

Discussion about this post